পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট করোনা শনাক্তে কার্যকর নয় বলে জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া। তিনি বলেন, প্রথম দুই সপ্তাহে গণস্বাস্থ্যের কিট ব্যবহার করে শুধু ১১-৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্ত সম্ভব হয়েছে। এ কিট কার্যকর নয়। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরমেন্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট বন্ট কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল জানান, এখনো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, দুশ্চিন্তার কারণ নেই কিটের প্রতি আস্থা আছে ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। গত ২ মে বিএসএমএমইউর কর্তৃপক্ষ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে বিএসএমএমইউতে কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনা শনাক্তে র্যাপিড টেস্টিং কিট দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। বিএসএমএমইউর পরীক্ষায়ও ২৮ মে তার করোনা পজিটিভ আসে। ১৩ জুন পরীক্ষার পর করোনা নেগেটিভ আসে। পরে পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি এখন করোনামুক্ত। তবে এখন তিনি নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন।
বিএসএমএমইউর প্রতিবেদন জানার পরও নিজেদের কিটের প্রতি আস্থা থাকার বিষয়ে জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, প্রতিবেদন সম্পর্কে এখনও কিছু জানি না। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারব। রিপোর্ট পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেব। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তে র্যাপিড ডট বন্ট কিট উদ্ভাবনের পর ২৬ এপ্রিল তা হস্তান্তরের আয়োজন করে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান তা গ্রহণ করতে যায়নি। এই কিটের অনুমোদন দেয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সরকারের ওষুধ প্রশাসন। কিট পরীক্ষার জন্য গ্রহণ না করায় বিতর্কের সৃষ্টি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সমালোচনা করা হয়। নানা আলোচনা-সমালোচনার একপর্যায়ে ২৯ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন বিএসএমএমইউতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে তাদের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমোদন দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।