Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা মেডিক্যালে প্লাজমা থেরাপিতে ধীরগতি

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ মাঝপথে এসে অর্থাভাবে প্রায় আটকে গেছে। এই পরীক্ষার জন্য মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা চাওয়া হলেও এখনো কোনো অর্থ বরাদ্দ মেলেনি। অন্যদিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় গত মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্যরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে গত ২ মে থেকে ৪৬ দিনে ঢামেকের করোনা ইউনিটে ৬৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান সাংবাদিকদের বলেন, নিজস্ব অর্থ ও দাতাদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করে ‘ভালো ফল’ পাওয়া গেছে। কিন্তু সরকারি কোনো ফান্ড না পাওয়ায় এখন কাজের গতি সেøা। সরকারের সহায়তা না পেলে এগিয়ে নেয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, মোট ৯০ জনের জন্য প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগসহ পুরো গবেষণাটির কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে তা নির্দিষ্ট করে দিয়ে মোট ৪০ লাখ টাকা সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছিল। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল শাখার পরিচালকের (হাসপাতাল) কাছে আবেদন জমা দেয়া হয়। সেখান থেকে চিঠিটি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে। কেন দিচ্ছে না তা বুঝতে পারছি না। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ছাড়া উপসর্গ আছে এমন রোগী, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশু বিভাগের রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দেয়া হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, যারা প্লাজমা দিচ্ছেন তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, তারা নিরাপদ থাকবেন। কোনও ধরনের রি-ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনার দেয়া প্লাজমাতে সুস্থ হতে পারেন আরেকজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ