বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পেতে ধীরগতি ও নমুনা দেয়া ব্যক্তিদের অবাধ চলাফেরার কারণে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। নমুনা দেয়া রোগীদের রিপোর্ট আসতে সাত থেকে ১৩ দিন সময় লাগায় অনেকে পরিবারসহ বাইরের লোকজনের সংস্পর্শে আসছেন। ফলে উপজেলা জুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়ায় ধীরগতির কারণে বিপাকেও পড়ছেন অনেক উপসর্গ বহনকারী। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অন্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে পারছেন না তারা। সেই সাথে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগও আছে অনেকের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত সাত জুন নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত রোববার সেই নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। এতে দুজনের করোনা পজিটিভসহ আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন। এভাবে রিপোর্টের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাইরে ঘুরতে দেখা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপসর্গ দেখা দেয়া ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসতে ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগে। সময়মত পরীক্ষার ফলাফল না আসায় করোনা আক্রান্তরা উপসর্গ নিয়েই বাহিরে ঘুরে বেড়ানোর কারণে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. এনায়েতুল্যা নাজিম বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত কাউকে করোনা রোগী বলা যাবে না। তবে নমুনা সংগ্রহের সময় নমুনা প্রদানকারীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে সাত জুন পর্যন্ত ২৮২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত সাত জুনের সংগ্রহকৃত নমুনার ফলাফল গত রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। গত আট জুন থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সংগ্রহকৃত ৫৬ জনের নমুনার ফলাফল গতকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার আরো ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই বিষয়ে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিনাজপুরসহ ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় সংগ্রহকৃত নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ নমুনা এসে জমা হয়। কিন্তু প্রতিদিন ১৮৮টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। যার ফলে নমুনার ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন জনবল ও উপকরণ সঙ্কটের কথা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, নমুনা সংগ্রহকারীদের হোমকোয়ারেন্টিনে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেইসাথে সকল নাগরিককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।