বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে উপকারভোগী দল গঠন করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কায়দায় বেআইনীভাবে অসহায় কৃষকদের জমি জবর দখলের প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভূমি মালিকরা। গতকাল বুধবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে।
জমির মালিকদের অভিযোগ মতে, বনবিভাগ প্রাইভেট ফরেস্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ অনুযায়ী পঞ্চগড় জেলার ৫৬০২ দশমিক ৭৩ একর জমি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৬৭ সালের মধ্যে গেজেটভূক্ত করে। কিন্তু জমির মালিকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। বনবিভাগ শুধুমাত্র ১৯২৭ সালের সংরক্ষিত বনভূমির মালিকানা ও ওয়ার্কিং প্লান অনুযায়ী সরকারিভাবে গাছ লাগানোর কথা। কিন্তু বনবিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে জমিগুলো কাগজে কলমে দখলে রেখেছে। এসব জমির মধ্যে অনেকের বসতবাড়ি রয়েছে। কিছু জমি বনবিভাগের নি¤œ পর্যায়ের কর্মচারীদের স্থানীয়ভাবে বর্গা দেয়া হয়েছে। প্রাইভেট ফরেস্ট অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ আওতায় গেজেটভূক্ত এসব জমির মালিকানা বনবিভাগকে দেয়া হয়নি। তবে অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ অনুযায়ী গেজেটভূক্ত জমি ভূমি মালিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান সাপেক্ষে যে কোনো সময় ফরেস্ট সেটেলমেন্ট অফিসার সংরক্ষিত বনভূমি হিসেবে ঘোষণা দিতে পারেন। অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ অনুযায়ী বনবিভাগ এসব জমি কোনোভাবেই দাবি করতে পারে না। কিন্তু এ জেলায় এ আইন অনুসরণ না করে নীরিহ ভূমি মালিকদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। বর্তমানে পঞ্চগড় জেলায় বিএস রেকর্ড প্রস্তুতের কাজ চলমান রয়েছে। অসহায় ভূমি মালিকরা রেকর্ড না পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিচ্ছে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ভূমি মালিক ওয়ালিউল ইসলাম মন্টু, নুরুল আমিন, মো. খোরশেদ আলম, বোদা উপজেলার মো. ওয়ালিউল ইসলাম মন্টু বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় প্রচলিত আইনে ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে এসব জমিতে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা না করা পর্যন্ত কোনোভাবেই চলমান রেকর্ড ও খাজনা প্রদান বন্ধ রেখে ভূমি মালিকদের এভাবে হয়রানি করতে পারেনা। জরিপ অফিসে দিনের পর দিন ঘুরছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রীসহ জরিপ বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এসব জমি বনবিভাগের গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়েছে। জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে জমির রেকর্ড দিচ্ছে না। কিছু জমিতে বন আছে। কিছু অনাবাদি আছে। কিছু জমিতে বসতবাড়িও আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।