পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সরকারের কোন লাভ হবে না বরং রাজস্ব হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর অব বাংলাদেশ (এমটব)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
এমটব মহাসচিব এসএম ফরহাদ বলেন, বর্তমানে জিডিপিতে ৭ শতাংশ অবদান রয়েছে মোবাইল অপারেটরদের। আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করলে তা ১০ শতাংশ হত। টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আমাদের কথা শুনে অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় ছাড় দেওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার সাথে সাংঘর্ষিক, এখনও মোট গ্রাহকের ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ফিচার ফোন ব্যবহার করে, তারা কথা বলা বা এসএমএস করে থাকে। তারা ব্যবহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব আসবে না এবং সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে মূল চাপটা গ্রাহকের ওপর পড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা ব্যবহার কমিয়ে দিলে রাজস্ব কমে যাবে। অপারেটরদের আয়ের ৫১ থেকে ৫৭ শতাংশ সরকারের রাজস্বে চলে যায়। অপারেটররা আয় করলে সরকারের রাজস্বও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম বলেন, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধিতে সরকার ৪০০ কোটি টাকার মতো সরকার গেইন করবে। তবে এ খাতের সার্বিক দিক বিবেচনায় সরকার অনেক খাতেই রাজস্ব হারাবে। ফ্রিল্যান্সাররা ব্যবহার কমিয়ে দিলে এ খাতে আয় কমে যাবে, মহামারীর সময়ে ই-কমার্স মূল চালিকা শক্তি হিসেবে দাঁড়াচ্ছে, সব মিলে সরকারের ক্ষতির দিকটাই বেশি। শর্ট টাইম লাভের আশায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা হারাবে। মহামারীর সময়ে এই সিদ্ধান্ত বোধগম্য হচ্ছে না। এর যুক্তি কোথায় আমরা বুঝতে পারছি না।
গত বাজেটে একই হারে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে শাহেদ বলেন, গত বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত রেভিনিউয়ে নরমাল যে গ্রোথ তা স্বাভাবিক ছিল, ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে তবে ভয়েস বাড়েনি। যে গ্রোথ আশা করেছিলাম শুল্ক বৃদ্ধির কারণে তা হয়নি। কোনো অপারেটরই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।
বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের টার্গেট থাকে। বাংলাদেশে যেভাবে শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে তারা অন্য দেশে বিনিয়োগে চলে যাচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা আশা করছি, সরকার এসব বিবেচনা করে দেখবেন।
গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, এ সিদ্ধান্ত গ্রাহকের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। সরকারের কাছে বিবেচনার দাবি জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।