বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সুইসাইড নোট লিখে সোনিয়া খাতুন (১৬) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়ের চর নিতাইল পাড়ার পূর্বপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সোনিয়া খাতুন উপজেলার শালঘর মধুয়া হাজী আছিয়া খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং নিতাইল পাড়ার সুফিয়া খাতুনের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, একই এলাকায় জহুরুল হাজির কলেজ পড়ুয়া ছেলে জীবনের (২০) সঙ্গে সোনিয়ার প্রায় এক বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর মাঝে তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সোনিয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য জীবনকে চাপ দিতে থাকে। গত শনিবার (১৩ জুন) জীবনের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে রাখে সোনিয়া। কিন্তু জীবন পালাতে রাজি না হওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় জীবনের বাড়িতে ছুটে যায় সোনিয়া।
এ সময় জীবনের মা-বাবা ও বোন সোনিয়াকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। সোনিয়া সোজা বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। পুলিশ বিষয়টি দেখা হবে বলে আশ্বস্ত করে সোনিয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়। অপমান আর ক্ষোভে মঙ্গলবার সকালে সুইসাইড নোট লিখে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। সোনিয়ার মা সুফিয়া খাতুন বলেন, জীবনের সঙ্গে গোপনে সোনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতরাতেই জানতে পারি সোনিয়া দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি। আমার স্বামী নেই। অনেক কষ্টে মেয়েকে বড় করেছিলাম। ওর সঙ্গে যে খারাপ কিছু করেছে তার কঠোর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম বলেন, মেয়েটি ক্যাম্পে এসে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের কথা জানিয়ে বলে- ‘আমি বাড়ি গেলে পরিবারের লোকজন মারবে।’ এমন কথা শুনে আমরা তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। তবে লিখিত অভিযোগের কথা তিনি অস্বীকার করেন।চৌরঙ্গী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রাকিব বলেন, সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া। সুইসাইড নোটে সোনিয়া লিখেছে- ‘আমার পেটে জীবনের বাচ্চা। আমিতো বেঁচে থাকতে ওর বিচার করতে পারলাম না। মরার পরে যেন ওর কঠোর বিচার হয়।’
কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, সুইসাইড নোট লিখে মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সুইসাইড নোটসহ একটি ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই সোনিয়ার প্রেমিক জীবনসহ তার পরিবারের সকল সদস্য পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।