Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভারে চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ, লাখ টাকায় সমঝোতা

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ৫:১৫ পিএম

ঢাকার সাভারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের আগেই এক নারী মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিত্ত থলির পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার আধাঘন্টার মধ্যে ওই নারী মারা যান।
ওই নারীর মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অজ্ঞতা ও অবহেলার অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে থানায় অভিযোগ করা হলেও পরে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করেন স্বজনরা। তবে ঘটনার পর ‘ইসলামিয়া ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হসপিটাল’ তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি রোববার রাতের হলেও মঙ্গবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
নিহত রোকেয়া বেগম (৫৫) ধামরাইয়ের কুশুরা গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: মনিরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে রোববার রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু এর আগেই স্বজনেরা লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যান। এসময় হাসপাতালও তালাবদ্ধ পান তিনি। মুঠোফোনে নিহতের ছেলে আজিজুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানায় মামলা করবে না সমঝোতা হয়েগেছে।
নিহতের ছেলে আজিজুল হক বলেন, পিত্ত থলির পাথর অপসারণের জন্য স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে তার মাকে রোববার বিকেল তিনটার দিকে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার ইসলামিয়া ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। এর আধা ঘন্টার মধ্যে অচেতন অবস্থায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে বের করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এনাম মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে অস্ত্রোপচারের আগেই তাঁর মা মারা গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছানোর আগেই প্রভাবশালীদের চাপে এক লাখ টাকার বিনিময়ে আপোস করতে বাধ্য হন তাঁরা।
ইসলামিয়া ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক ডা. মোশারফ হোসেন ভুইয়া বলেন, হাসপাতালেতো রোগী মরবেই। তাছাড়া ওই রোগীর পিত্ত থলির পাথর ছিল, কিডনিতে সমস্যা ছিল। মারা যাওয়ার পর জানতে পারছি তার করোনা ভাইরাস হইছিল। তবে তারা করোনার কোন পরীক্ষা করাননি বলে জানান। পরে মৃত্যের স্বজনদের সাথে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এবিষয়ে জানতে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদার মুঠফোনে একাধিবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ