বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরীতে লকডাউন এখনো কার্যকর না হলেও দু-এক দিনের মধ্যেই তা সম্ভব হতে পারে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বরিশালের সিভিল সার্জনকে অবহিত করার পরে তা জেলা ও পুলিশ প্রশসনকেও অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনকেও সরকারী এ নির্দেশনা প্রতিপালনে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতার কারনে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকা ইতোমধ্যে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার এ নগরীতে ৮’শ মানুষ করোনা সংক্রমনের শিকার। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গত সপ্তাহে বরিশাল মহানগরী লক ডাউন করা সহ এ নগরীতে সংক্রমন অত্যাধিক বলে ৩ দফা বার্তা প্রদান করা হয়।
মহারনগরী লক ডাউনের বিষয়টি বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ফোন করে প্রদত্ত নির্দেশনা দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন’। সিভিল সার্জন এ নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করে বরিশালের সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের চিঠি প্রদান করেছেন। বরিশাল মহানগর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন ‘লক ডাউন বাস্তবায়নে নির্দেশনা কার্যকরে পূর্ব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু করেছে। এলক্ষে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও বেশ কিছু মহলের সাথে সমন্বয় করে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় প্রদত্ত প্রজ্ঞাপনে ‘যেখানে 'রেড জোন' হবে সেই এলাকাকে ব্লক করা হবে। ওই এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। রেড জোনে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসন’। ‘এছাড়া "রেড জোনে দেয়া লকডাউন ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য প্রযোজ্য হবে। সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বুথ বসানোরও কথা রয়েছে। চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। খাবার, ওষুধ ও বাজারের সব ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে ভেতরেই করা হবে। সবদিক থেকে ওই এলাকাটিকে ঘিরে দেয়া হবে যাতে মানুষ বাইরে বের হতে না পারে, এবং বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে না পারে’।
উল্লেখ্য যেসব এলাকায় প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেসব এলাকাকে 'রেড জোন' হিসেবে ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। ১৫ জুনের পর থেকে 'রেড জোন' ঘোষণা করে লকডাউনের কাজ শুরু করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।