Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঠবাড়য়ায় আম্ফানে ১০ গ্রামে প্রায় ২ হাজার একর জমিতে পানিবদ্ধতা

আমন আবাদ অনিশ্চিত আউশ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ৪:০৫ পিএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ফসলের ক্ষেতে পানিবদ্ধতায় ১০ গ্রামের প্রায় ২ হাজার একর জমিতে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে আমন আবাদ। সহা¯্রাধিক একর জমির আউশ ফসল এবং খরিপ শষ্য সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। আম্ফানের প্রবল পানির চাপে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে প্রবেশ করা পানি ও বৃষ্টির পানিতে ফসলের ক্ষেত ১/২ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২ হাজার একর ফসলের ক্ষেতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হযেছে। দ্রুত পানি নি®া‹াশন না হলে আমন আবাদ অনিশ্চিত বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

পানিবদ্ধ গ্রাম সমূহ হলো নলবুনিয়া, হারজী নলবুনিয়া, বাদুরা(আংশিক), নাগ্রাভাঙ্গা, মিরুখালী(আংশিক), পাঠাকাটা, চিত্রা, আলগীপাতাকাটা(আংশিক) ও চালিতাবুনিয়া।
জানাযায়, আমুয়া-মিরুখালী-ধানীসাফা খালের দক্ষিণ পাশে দীর্ঘ প্রায় ৮ কিলোমিটার বেরিবাধেঁর বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড় ও নি¤œ চাপের প্রভাবে ভেঙ্গে গেলেও কোন সংস্কার হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গা স্থান থেকে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে।
দীর্ঘ এই বেরিবাঁেধর ভেতরের পানি নিষ্কাশনের জন্য একমাত্র পথ মিরুখালী বাজার সংলগ্ন শ্লুইজ গেট। শ্লুইজ গেট দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ বন্ধের জন্য ৪ টি কপাটই অকেজ হয়ে আছে। বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে ফসলের ক্ষেতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে যা শ্লুইজ গেট দিয়ে নিষ্কাশন হতে পারছে না। পানিতে আউশ ও খরিপ শষ্য বিনষ্ট হয়ে গেছে এখন আমনের বীজতলা করার জন্য শুকনা জমি পাচ্ছে না কৃষকরা। বীজতলা না করতে পারলে সামনে বোরো আবাদ চরমভাবে ব্যহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
পাঠাকাটা গ্রামের অমল মিস্ত্রি(৬০) জানান, তার প্রায় ৬৬ শতাংশ জমির আউশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। একই গ্রামের বর্গা চাষী কালাম মল্লিকের(৩৫) দেড় একর, নকুল মিস্ত্রীর(৪৫) ১ একর এবং হারজী গ্রামের ইউনুচ হাওলাদারের প্রায় ২ একর জমির আউশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের জহিরুল ইসলাম হাং(৩৫) জানান, তার প্রায় ৬৬ শতাংশ জমির আউশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। পানি না কমলে আমনের বীজতলা করাও সম্ভব হবে না বলে জহির জানান।
মিরুখালী কৃষি তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, পানি নিষ্কাশন না হলে আমন আবাদ ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই পোল্ডারটায় বহুমুখী সমস্যা আছে, সার্ভে করা হয়েছে বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন পানিবদ্ধতার কথা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানান হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মৌখিকভাবে বলব এবং অফিসিয়ালি তাদেরকে একটি চিঠি দেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ