বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের জায়গা দখল করে একাধিক ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পশ্চিম গৌরীপাড়া গ্রামের বাসীন্দা আবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে, উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর মৌজায় ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ করেছেন ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে আবুল হোসেন তার ক্রয়কৃত জায়গায় মিল চাতাল ও ভবন নির্মাণ করেছেন বলে দাবী করছেন।
ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে আবুল হোসেন নামে ওই ব্যাক্তি সরকারী কলেজের জায়গা দখল করে মিল চাতাল ও বহুতল ভবন নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনায় একাধিকবার প্রশানের সহযোগীতায় কলেজের জায়গা উদ্ধার করলেও, পরে আবারো জোরপুর্বক ভবন নির্মাণ করছেন তিনি(আবুল হোসেন)। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের কারনে কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে, আবুল হোসেন আবারো গোপনে ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়,বিরোধী জায়গায় একাধিক ভবন নির্মাণ করছেন ব্যবসায়ী আবুল হোসেন, স্থানীয়রা জানায় এই জায়গাটি নিয়ে ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের সাথে আবুল হোসেনের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নজমুল হক বলেন,গত ১৯৬৫ সালের ২৯মে জমির মালিক জমির আলী মোল্ল্যা দক্ষিন বাসুদেব পুর মৌজার ২৪০ নম্বর দাগে ৯৭ শতাংশ জমি সরকারী কলেজকে দান করেন। সেই সময় থেকে বর্গাচাষি নিয়োগ করে কলেজ ভোগ দখল করছিল, কিন্তু পশ্চিম গৌরীপাড়া গ্রামের বাসীন্দা আবুল হোসেন নামে এক ব্যবস্যায়ী সরকারী কলেজের জায়গা দখল করে মিল চাতাল ও বহুতল ভবন নির্মাণ করা শুরু করায় এই বিরোধের সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষ নজমুল হক আরো বলেন কলেজের জায়গা দখল করায়, তিনি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারের উর্দ্ধতন মহলকে অবহিত করে মামলা দায়ের করেছেন, সেই মামলা থেকে জামিনে এসে আবারো ভবন নির্মাণ করছেন আবুল হোসেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন, তিনি খরিদা সুত্রে সেই জমিতে মিল চাতাল ও গাছ লাগিয়েছেন। আবুল হোসেন দাবী করেন তিনি ২৫ বছর পুর্বে এই জমি খরিদ করলেও, সেই সময় সরকারী কলেজ কোন দাবী করেননি, এখন এসে কলেজ জমির দিক নিয়ে তার সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন।
আবুল হোসেন বলেন এই জমির মুল মালিক ছিলেন সুবোধ চন্দ্র সাহা, সুবোধ চন্দ্র সাহার নিকট বিনিমিয় সুত্রে জমির আলী ২৪০ দাগে ২০৪ শতক জমিসহ মোট ১৬ একর ৯৫ শতক জমি প্রাপ্ত হন, এরমধ্যে ২৪০ দাগে ২০৪ শতক জমির মধ্যে ৯৭শতক জমি কলেজকে দান করেন এবং বাকি এক একর ১১ শতক জমি মুল মালিক ভোগ দখল করা অবস্থায় জমির আলীর মৃত্যু হলে, জমির আলীর মেয়ে রওশন আরা বেগম ওয়ারীশ সুত্রে গত ১৯৯৩ সালের ১৬মে এক একর জমি তার নিকট বিক্রি করেন।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে কলেজের জায়গা বেদখল থাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে। সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন কলেজটি গত ১৯৮৯ সালে জাতীয়করণ হলেও, এখন পর্যন্ত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, উপরন্ত একের পর এক কলেজের জায়গা বেদখল হচ্ছে, এজন্য তারা সরকারের উর্দ্ধতন মহলের আশু হতস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।