Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০৯৯

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ২:৪৩ পিএম | আপডেট : ৩:০৩ পিএম, ১৫ জুন, ২০২০

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২০৯ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে ৩ হাজার ৯৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ৯০ হাজার ৬১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হল।

আজ রোববার (১৫ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

৬০টি ল্যাব থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৫ হাজার ৭৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮টি। এতে পজেটিভ এসেছে ৩ হাজার ৯৯টি। এ নিয়ে এযাবত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫০৩টিতে।

দেশে একদিনে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বুলেটিনে বলা হয়,  সবমিলিয়ে এখন দেশে সুস্থ করোনারোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৭ জনে। সে হিসাবে নতুন করে ১৫ হাজার ২৯৭ জন রোগীর সুস্থতার খবর দেয়া হয়েছে।

এর ব্যাখ্যা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আমরা আজ গতকালের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ রোগীর সংখ্যা বলছি। এর কারণ হল, যারা বাসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন এবং উপসর্গবিহীন তাদের সংখ্যাটি এখানে যোগ করা হয়েছে। এ তথ্যটি আমাদের আইইডিসিআর সরবরাহ করেছে। 

এর ফলে মহামারী ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হারও একদিনে বেড়ে দাঁড়ালো ৩৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ২১ দশমিক ৪০ শতাংশ। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং ছয়জন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের তিনজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের পাঁচজন রয়েছেন।

এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৮ জন, চট্টগ্রামের ১২ জন, সিলেটের ছয়জন এবং বরিশাল ও রংপুরে একজন করে রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন, বাসায় থেকে মারা গেছেন ১১ জন এবং হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন দুজন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে। জন্স হপকিন্সের তথ্যমতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ লাখেরও বেশি। আর মৃতের সংখ্যা চার লাখেরও বেশি। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর মার্চ মাস শেষে ৫০ জনের মতো শনাক্তের কথা জানা গেলেও এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে খুব দ্রুত।

বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।

করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্ব। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। মৃতের সংখ্যা চার লাখ দুই হাজারেরও বেশি। তবে প্রায় সোয়া ৩৪ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ