Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো

করোনা চিকিৎসায় জনস্বার্থে রিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনা রোগীর চিকিৎসায় স্বনির্ধারণী হারে ইচ্ছে মতো অর্থ আদায় করছে বেসরকারি হাসপাতাল। এক্ষেত্রে তারা তোয়াক্কা করছে না সরকারি নির্দেশনার। এ প্রেক্ষাপটে করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ না নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকার পক্ষে জনস্বার্থে রিটটি ফাইল করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিটটির শুনানির কথা রয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। রিটে বলা হয়, করোনা রোগীর চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি সরকার একটি নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু এ নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে।

রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ এপ্রিল বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। এ জন্য সরকার ফি নির্ধারণ করে দেয়। বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আন্তঃবিভাগ ও বহির্বিভাগ নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিতে পারবে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান বাড়িতে গিয়ে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করলে বাড়তি এক হাজার টাকা সার্ভিস চার্জসহ সাড়ে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে এমন তথ্য জানিয়ে আরও বলা হয়, তারা শুধু তাদের হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এর আগে সরকারকে বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ অধিগ্রহণ ও কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেন্ট্রাল বেড ব্যুরো গঠন করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের হাসপাতালে কতগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) আছে, সেগুলো কীভাবে বণ্টন হয়, তার তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট।



 

Show all comments
  • Sultan Akbar ১৫ জুন, ২০২০, ১২:০৮ এএম says : 0
    Needs strong supervision and action.
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৫ জুন, ২০২০, ১১:০৩ পিএম says : 0
    সংবাদটা আশাপ্রদ। এখন হাইকোর্ট থেকে কি সিদ্ধান্ত আসে সেটাই দেখার বিষয়। বেসরকারি হাসপাতালগুলো মালিক ও ডাক্তারদের হাতে পরিচালিত হয়ে থাকে। এরা সরকারি আইনকে সবসময়ই বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে চলে আসছে। সরকার এদের কিছুই করতে পারেনাই এবং সামনে পারবেনা। কারন সরকারি ভাবে দেশের চিকিৎসার ব্যাবস্থা খুবই নাজুক অবস্থানে রয়েছে কাজেই দেশের আপামর জনগণকে এসব বেসরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। এজন্যেই সরকার এদের (বেসরকারি হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসক) হাঁতে জিম্মি হয়ে আছে। আল্লাহ্‌ বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য খাতের লোকজনদেরকে সত্য বলা এবং সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ