বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর দখলের অভিযোগ উঠছে সিলেট জেলা বন বিভাগের ২ (দুই) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। জবর দখলের মধ্য দিয়ে একান্ত চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে নিয়ে এহেন অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ। উপ-বন সংরক্ষক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও জাফলং বিট রেঞ্জার জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে র্যাব-৯ বরাবরে এ অভিযোগ আজ (১৪জুন) দাখিল করেছেন মোহাজির প্রতিনিধি মো: রফিকুল ইসলাম। অভিযোগকারী বলেন, আজীবন লীজ ভূমিতে বন বিভাগী কর্তৃক বেআইন দখল করার বিরুদ্ধে বিগত ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ইং মহামান্য উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন নং ২৯১৩/২০১৪ দায়ের করেন তারা। মহামান্য আদালত ৯ ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশ বন বিভাগের উপর এক নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে রায় ঘোষনা করেন। আদালতের উক্ত আদেশটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও প্রেরণ করে, সেই আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয় বন বিভাগকে। কিন্তু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগের পদবী ব্যবহার করে উচ্চ আদালত প্রদত্ত নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করে আইনের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করে যাচ্ছেন চাঁদাবাজ এ দুই বন কর্মকতা। ‘বিচার বিভাগ’ এর ক্ষমতাকে অত্যন্ত নগ্নভাবে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বৃক্ষ নিধন সহ জমি জমা অন্যায় ভাবে ভাড়া দিয়ে পকেট ভারী করছেন তারা। এখন অবৈধ অর্থে কয়েক কোটি টাকার মালিক এ দু’জন। তাদের এহেন তৎপরতা বন্ধে বারবার বাধা আপত্তি প্রদান করলে এ দুই বনরক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বৃক্ষ কর্তনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অভিযোগকারী সহ নিরীহ মোহাজিরদের বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা দিয়ে হয়রানী চালাচ্ছে। এছাড়া তাদের নেতৃত্বে স্থানীয় এক লুঠেরা চক্র গড়ে তোলা হয়েছে। তারা বন রক্ষিদের অস্ত্র অবৈধভাবে ব্যবহার করে হুমকি-ধমকি, সহ মামলার ভীতি প্রদর্শন চালিয়ে যাচ্ছে মোহাজিরদের সাথে। এব্যাপাারে মোহাজরি প্রতিনিধি মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা লঙ্গনের জন্য তারা শিগগিরই এই দুই বন রক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।