পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশিয় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প রক্ষায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসবিএমএ)। রোববার (১৪ জুন) প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।
স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জওহর রিজভীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে এসবিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পে দীর্ঘদিন ধরে এক অসম প্রতিযোগিতা চলে আসছে। দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারে কাস্টমস ডিউটি দিয়ে কাঁচামাল আমদানি করলেও বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনাশুল্কে তৈরি পণ্য আমদানি করছে। শুধু তাই নয় আমদানিকৃত ডিউটি ফ্রি তৈরিপণ্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাজস্ব বোর্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাজারে বিক্রিও করছে। যার ফলে প্রতিযোগিতায় দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি জওহর রিজভী বলেন, স্টিল বিল্ডিংয়ে দেশিয় অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থাকলেও সরকারি কোনো টেন্ডারে তাদের অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এ শিল্পের বিকাশে সরকারি সকল টেন্ডারে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহন নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি এ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাস্টমস ডিউটিও কমানো প্রয়োজন।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনা সংক্রমিত হওয়ায় প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পের কাঁচামাল গত ডিসেম্বর থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে শিল্পগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। গত ডিসেম্বর এসবিএমএ অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৩০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে আরও প্রায় ২০০টি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, শিল্পের ‘আঁতুড়ঘর’ হিসেবে খ্যাত প্রি- ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের ৯৯ শতাংশ ফ্যাক্টরি শেড বিল্ডিং বর্তমানে প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল বিল্ডিং দ্বারা নির্মিত। কিন্তু এ শিল্পের কাঁচামালের ৯৫ শতাংশ চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাস চীনে সংক্রমিত হওয়ার কারণে দেশীয় আমদানিকারকরা নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলেও জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।