Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লৌহ শিল্পের কাঁচামালে আরডি প্রত্যাহারের দাবী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ৫:৪১ পিএম

বাজেটে লৌহ শিল্পের কাচামাল আমদানীতে রেগুলারেটরি ডিউটি প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল ইম্পোরটারস এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল মার্চেন্টস এসোসিয়েশন।

রোববার (১৪ জুন) সংগঠন দুটি পুরান ঢাকার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল সেকেন্ডারী কোয়ালিটি ষ্টীল কয়েল/সীট এর ওপর রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে বৃদ্ধিও প্রস্তাব করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল ইম্পোটারস এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আমীর হোসেন নুরানী, সাধারণ সম্পাদক নাসিরউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ আলী, সহকারী কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম এছাড়াও মীরহাজিরবাগ, কেরানিগঞ্জের লৌহ ব্যাবসায়ীরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মহামারী করোনা ভাইরাসের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। আমরা আয়রন এন্ড ষ্টীল ব্যবসায়ীরা বহু বছর ধরে আমাদের দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল সেকেন্ডারী কোয়ালিটি ষ্টীল কয়েল/সীট বিভিন্ন দেশ থেকে গামের্›টসের স্টক লটের মত খুবই কম মূল্যে আমদানী করে আসছি। বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্টিক টন আমদানি করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছি।

আমরা প্রায় ছোট-বড় ৩ লাখের অধিক শিল্প- কারখানা ও ওয়ার্কশপ একসঙ্গে আছি। এই শিল্পের সাথে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২৫ লাখের অধিক লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে গত ১১ জুন ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে ৭২১০.১১.০০, ৭২১০.২০.০০, ৭২১০.৩০.০০, ৭২১০.৪৯.৯০, ৭২১০.৫০.০০, ৭২১০.৬৯.৯০, ৭২১০.৭০.৩০, ৭২১০.৯০.০০ এইচ এস কোডভূক্ত পণ্যসমূহের রেগুলারেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ এ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ কারখানাগুলোর কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাবে। আমদানীকৃত ফিনিশ্ড প্রোডাক্টের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই শিল্পের সাথে জড়িত লাখ লাখ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং এই শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়া হয়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার তার রাজস্ব হারাবে ও আমদানীকৃত ফিনিশ্ড পণ্য দ্বারা বাজার ছয়লাব হয়ে যাবে।

এসব পন্য দেশে উৎপাদিত হয় না। বাংলাদেশের শিল্প-নীতি অনুসারে সেকেন্ডারী কোয়ালিটি শিল্পের কাঁচামালের শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশের অধিক নয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই কাঁচামালের এর উপর কোন শুল্ক নেই। সরকারের অব্যহত সফলতা নষ্ট করতে একটি কুচক্রীমহল দেশীও শিল্পকে নষ্ট করতে এ ধরণের প্রস্তাব করেছে। আমরা পণ্যসমূহের রেগুলারেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। অন্যথায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবেনা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ