পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বিভাগের অধ্যাপক ও হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান ডা. মোজাফফর হোসেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে এবার তিনি নিজেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে গতকাল রোববার নিজেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এক সহকর্মীর কোভিড-১৯ ধরা পড়লে গত বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা করেন। সেখানে তার সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমার ওই সহকর্মী পজেটিভ হওয়ার পর আমারও কিছু সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দেয়। পরে নমুনা পরীক্ষা করালে পজেটিভ হয়। আমার এখন পর্যন্ত খুব মৃদু উপসর্গ।
অন্যদিকে গত ৪৮ঘন্টায় রোববার বিকেল পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটে ১৮জন মৃত্যুবরন করেছেন। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্যরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। গত শনিবার ঢামেকের করোনা ইউনিটে ২০জন মৃত্যুবরন করেছেন। এ নিয়ে গত ২মে থেকে ৪৪দিনে ঢামেকের করোনা ইউনিটে ৬১৩জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ছাড়া উপসর্গ আছে এমন রোগী, নিউরো সার্জারি, অর্থোপেডিক্স, শিশু বিভাগের রোগীরাও চিকিৎসা পাচ্ছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তাই অনেক সাধারণ রোগী আছে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে শেষ মুহুর্তে ঢামেকে আসেন। যখন আসে তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকে না। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন দাবি করলেও করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী, রোগীর স্বজন, মৃত রোগীর স্বজনরা ভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখানে আসা গুরুত্বর অসুস্থ অনেক রোগী সময়মতো সেবা পাননা বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, যারা প্লাজমা দিচ্ছেন তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই, তারা নিরাপদ থাকবেন। কোনও ধরনের রি-ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনার দেয়া প্লাজমাতে সুস্থ হতে পারেন আরেকজন মানুষ। তাই সবাইকে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি।
ডা. মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এর আগে আমাদের আইসিইউর বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসা দিতে গিয়েই তিনিও আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, আক্রান্ত হয়েছি কিন্তু প্রতিদিনই রোগীদের খোঁজ-খবর নিতে হচ্ছে। প্রতিদিনই রোগীদের বিষয় চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। আইসোলেশন থেকো আমি রোগীদের চিকিৎসার দিক-নির্দেশনা দিচ্ছি বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।