পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে সংবাদপত্র শিল্প। বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। পত্রিকার গ্রাহকও কমেছে। এ অবস্থায় সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই সংবাদপত্রের কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ এবং নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সামনে রেখে সংবাদপত্র শিল্প রক্ষায় নোয়াবের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
স¤প্রতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে সংগঠনের পক্ষে নোয়াব সভাপতি একে আজাদ পাঁচ দফা দাবি সংবলিত লিখিত প্রস্তাব পাঠান। অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- বিজ্ঞাপন আয়ের উপর উৎস কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা, উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশের বদলে অগ্রিম কর (এআইটি) শূন্য শতাংশ করা, কর্মীর আয়কর থেকে প্রতিষ্ঠানকে দায়মুক্ত করা এবং তার বাড়ি ভাড়ার পুরোটাই করমুক্ত করা।
শ্রম আইন অনুসারে সংবাদপত্র একটি শিল্প। ২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যদিও সংবাদপত্র সেবা হিসেবে বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। সংবাদপত্র কোনোমতে চলছে। এ শিল্পের অবস্থা প্রকৃত অর্থেই ভালো নয়। অথচ তৈরি পোশাক শিল্পের কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আর সেবা শিল্প হওয়া সত্তে¡ও সংবাদপত্রের কর্পোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ। বিজ্ঞাপন থেকে বড় অঙ্কের ট্যাক্স কেটে রাখা হয়। আবার নিউজপ্রিন্ট বিদেশ থেকে আমদানি করলে ভ্যাট দিতে হয়। অথচ সংবাদপত্র শিল্পকে এখন আর ব্যবসা বলা চলে না। এর থেকে মুনাফা অর্জনের তেমন কোন সুযোগ নেই। এটা সমাজসেবার মধ্যেই পড়ে। এরপর করোনার মধ্যে সংবাদপত্র আরো রুগ্ন হয়ে পড়ছে। পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমেছে, পত্রিকার গ্রাহক ব্যাপকভাবে কমেছে। এতে প্রচুর আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে। পত্রিকাগুলোর মাসিক বেতন ব্যয়, অফিস ভাড়া, ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পত্রিকা পরিবহন ব্যয়সহ অন্য সব ব্যয় অপরিবর্তিত রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি পত্রিকা প্রিন্ট সংস্করণ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার যদি কর-ভ্যাট না কমায় তাহলে সংবাদপত্র আরো হুমকির মুখে পড়বে।
সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্তে¡ও অন্যান্য শিল্পের মতো বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। এ অবস্থায় সংবাদপত্রের কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করা জরুরি। এ সঙ্কটে সব খাতই প্রণোদনা, সহায়তা কিংবা বিশেষ ছাড় পাচ্ছে। সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যম এসবের বাইরে আছে। সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টে ভ্যাট থাকা উচিত নয়। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে সংবাদপত্র ভ্যাট থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সেবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্ট ভ্যাট থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সেবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দেয়া উচিত। সংবাদপত্র শিল্পের এমনিতেই যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থা, তাতে কর্পোরেট ট্যাক্স, এআইটি এবং টিডিএস নামে যেসব কর আছে, সেগুলো বাদ না দিলে অথবা ন্যূনতম পর্যায়ে না আনলে এ খাত টিকবে না বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।