পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিপর্যস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা বহাল রেখে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মৃত্যুকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা করেন।
আ স ম রব বলেন, করোনা মহামারীর তান্ডবে বিশ্বের শীর্ষ দশের বাংলাদেশে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন সংক্রমণের হার বাড়ছে, সাথে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। মহামারী করোনার এই দুর্যোগময় প্রেক্ষাপটে জাতীয় বাজেট উত্থাপিত হলেও মানুষের জীবন সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়নি। করোনা জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ঝুঁকি তৈরি করেছে সে বিবেচনায় বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর কোন পরিকল্পনা না করে প্রমাণিত অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমলাতন্ত্রের কাছেই থোক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটা জনজীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার প্রণোদনারই নামান্তর। করোনার অভিঘাত বা ছোবল মানুষের জীবন ও অর্থনীতিতে কি ধরনের আঘাত হেনেছে বা অদূর ভবিষ্যতে কি ধরনের আঘাত হানবে তার কোন কিছুই বাজেট পরিকল্পনায় পরিলক্ষিত হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই, নেই কোন অগ্রাধিকার।
বাজেটে জীবন ও জীবিকা সুরক্ষার চেয়ে সরকারের আত্মম্ভরিতার প্রতিফলন ঘটেছে বেশি। বলাবাহুল্য, এবারের এই বিশাল বাজেট ঘোষণার মাধ্যমে উন্নয়ন চমকের আড়ালে সরকার তার বৈধতার সঙ্কট কাটানোর নিছক প্রয়াস নিচ্ছে মাত্র। করোনা মন্দার কারণে সারাবিশ্ব জর্জরিত। তারপরও উচ্চমাত্রার প্রবৃদ্ধি আর উচ্চাভিলাষী বাজেট নিয়ে সরকারের দৌড়ঝাঁপের প্রয়াস ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হবে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ও সীমাহীন দুঃখ-দুর্দশায়।
করোনার কারণে সৃষ্ট মানবিক ঝুঁকির পাশাপাশি অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য যে ধরনের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন ছিল তার কিছুই বাজেটে পরিলক্ষিত হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।