পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এগিয়ে চলছে ঢাকার চারপাশের নদীতীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ। করোনা মহামারীতে সাধারণ ছুটি শেষে ফের শুরু হয়েছে ঢাকার চারপাশের নদীতীর রক্ষার কাজ। প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকায় শ্রমিক পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছে ঠিকাদার কোম্পানিগুলো। পেলে সঠিক সময়েই কাজ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা তাদের।
ঢাকার চারপাশের নদীতীর রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক নুরুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের ৬০ শতাংশ কাজ শেষ। আর ৪০ শতাংশ কাজ আছে। করোনার কারণে কিছু অংশের কাজ পিছিয়ে গেছে। তবে দ্রুত সংশোধিত প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব টেন্ডার শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনিটরিং জোরদার করেছি। চারটা ঘাট ধরেছি। ৫ কিলোমিটার সাইকেল লেন ধরেছি। এতে খরচ বাড়বে। ১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকার মত লাগবে। ২০২২ এর জুনে প্রকল্পটি শেষ হবার কথা। ঢাকার চারপাশের নদীতীর রক্ষার কাজ যে গতিতে চলছিল তা করোনার কারণে নিশ্চিতভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে কাজের গতি বাড়ানো না গেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নদীতীর রক্ষার স্বপ্ন অধরা থেকে যেতে পারে।
এস এস রহমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রকিবুল আলম দিপু ইনকিলাবকে বলেন, আবার নতুন করে কাজ শুরু করেছি। এখন আর আগের মত সেইভাবে কাজ করতে পারছি না। কারণ লোকবল সেভাবে আসতে পারছে না। করোনার কারণে কাজ আটকে ছিল। আমি দ্রুত কাজ শেষ করতে চাই।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর যানজট কমাতে ঢাকার চারপাশের নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের বৃত্তাকার নৌপথ খননের প্রকল্প নেয়া হয় ২০০০ সালে। দুই দফা খনন কাজ শেষে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় এই প্রকল্পের কাজ। ৯০ দশমিক ৪৪ কোটি ব্যয়ে ১১০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কিন্তু রাজধানীর চারপাশের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর অবৈধ দখল ও দূষণের কারণে আবার ভরাট হয়ে যাচ্ছে এই নৌপথটি।
এছাড়া নদীর উপরে নির্মিত সড়ক ও রেলপথে ১০টি সেতুর উচ্চতা কম থাকায় এর নিচ দিয়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী কোন নৌযান চলাচল করতে পারে না। বৃত্তাকার এই নৌপথের মধ্যে ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ-সদরঘাট পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার হলো দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ। এছাড়া সদরঘাট-মিরপুর-টঙ্গী-ডেমরা পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার হলো তৃতীয় শ্রেণির নৌপথ। এই নৌপথের ওপর বিদ্যমান সড়ক ও রেলপথে মোট ১৫টি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি সেতুর উচ্চতা নদীর পানির স্তর থেকে খুবই কম। এই সেতুগুলোর মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)’র ৪টি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতর (এলজিইডি) ৪টি ও রেলওয়ের ২টি সেতু রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, স্থায়ীভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণে ১০ হাজার ৮২০টি পিলারের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার পিলার বসানো হয়েছে। যেখানে শতভাগ দৃশ্যমান দেড় হাজার। এছাড়া এক কিলোমিটার খাড়া পাড় ও আড়াই কিলোমিটার ঢালু পাড় বাধাইয়ের কাজও প্রায় শেষের দিকে। শুরু হয়েছে ৬টির জেটি নির্মাণের কাজও।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকার চারপাশের বৃত্তাকার নৌপথ উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়নি এখনো। বসিলা, নদীর আদি চ্যানেল, কেরাণীগঞ্জের পাশ দিয়ে এবার অভিযান হবে। ইতোমধ্যেই গত তিন মাসে বসানো হয়েছে প্রায় ১৪শ’ ৫০টি স্থায়ী সীমানা পিলার ও প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় পাড় ঘেঁষা দেয়াল। তুরাগ পাড়ের ৫/৬টি হাউজিংয়ের অবৈধ অংশ অপসারণ করা হয়েছে এবং নদী প্রশস্ত করার কাজও।
বিআইডব্লউটিএ ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল মতিন ইনকিলাবকে বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গায় যাতে আর কোনো স্থাপনা তৈরি না করতে পারে সেজন্য নদী প্রশস্ততার কাজ চলছে। নদী প্রশস্ত করতে হলে প্রায় ৭০ লাখ ঘন মিটার ড্রেজিং করার প্রয়োজন হবে। আমরা সেদিক থেকেও এগিয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।