Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইনকিলাবে নিউজের পর বাঁশের সাঁকো উদ্বোধন

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ৭:১৫ পিএম

দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার অনলাইনে গত ৯ মে “থমকে আছে ব্রীজের নির্মাণ কাজ যাতায়াতে বাড়ছে দুর্ভোগ” এ শিরোনামে নিউজটি প্রকাশিত হয় । বর্ষারপানি বাড়ার কারনে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ইছামতি নদীর উপর নির্মানাধীন ওই ব্রীজের পাশেই যাতায়াতের জন্য গত শুক্রবার দুপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এরইমধ্য দিয়ে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের পাশ দিয়ে বিকল্প বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াতে দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাগব হবে। সেখানকার অন্তত ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত করবে এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। বর্ষা মৌসুমের সামনে এ বাঁশের সাঁকো নির্মিত হওয়ায় ব্রীজের দুই পাশের গ্রামের বাসিন্দারা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। গতকাল দুপুরে দিকে বাঁশের সাঁকো উদ্বোধন করেন রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন হাদী। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ, মো. ইয়াকুব, তৈয়ব আলী, মেহের আলী, সারওয়ার লস্কর ও ইউপি সদস্য ফেরদৌসী প্রমুখ। ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন হাদী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় জনসাধারণের চলাচলে এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণ করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে। ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেলের মতামতের ভিত্তিতে সাঁকো তৈরীর জন্য ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আ: রশিদ মিয়াকে সাঁকো তৈরীর জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত শুক্রবার দুপুরে বাঁশের সাঁকোটি উদ্বোধন করা হয়েছে ।
৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার আ: রশিদ মিয়া বলেন, বাঁশের সাঁকো তৈরীর জন্য আমাকে দায়িত্বদেয়া হয়েছে আমি তা সম্পন্ন করেছি। সাঁকো তৈরীতে ইউনিয়ন পরিষদ এখনো কোন টাকা দেয়নি আমাকে তবে দিবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা নিচ থেকে খরচ করেছি।
এদিকে, নির্মানাধীন ব্রীজের পাশে শুষ্ক মৌসুমে বাঁশ ফেলে সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত করে আসছিল জন সাধারণ। বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পানি বৃদ্ধি পাওয়া সেই সাঁকো পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সাঁকোটি নড়বড়ে অবস্থায় দাঁড়ায়। পায়ে হেটে যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। তাই অনেকেই নৌকায় সামান্য ওই পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন। এতে তাদের মাথা পিছু ভাড়া গুনতে হচ্ছিরো ৫ থেকে ১০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে রাজানগর বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে ফুলহার, সৈয়দপুর, মধুপুর, নয়ানগর ও জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মানুষ পড়েছেন বিড়ম্বনায়। কেননা রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের উপর ওই গ্রাম গুলোর বাসিন্দাদেরই সবচেয়ে বেশী যাতায়াত। তাদের যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়েছে।
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল সিকদার বলেন, এ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন অনেক লোকজন যাতায়াত করে থাকে। রাজানগর বাজার, দু’টি স্কুল, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতে হলে এ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীতে বর্ষার পানি আসছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করার পর উদ্বোধন করায় জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধা বেড়েছে। দৈনিক ইনকিলাবে সবার প্রথম আমাদের সমস্যা তুলে ধরার জন্য আজ এ বাঁশের সাকো।
জানা যায়, রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজ নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফর্মিলা আক্তার। গেল বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্ষার পানির জন্য ব্রীজটির কাজ বন্ধ রয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ