পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রেন স্ট্রোক করা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের জীবন নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। টানা ৮ দিন ধরে তার নড়াচড়া নেই। চোখ মেলে একবারের জন্যও তাকান নি। চেতনাহীন অবস্থায় তাকে লাইফসাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রথম দিকে ডাক্তাররা নাসিমের সুস্থতা নিয়ে আশাবাদী হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তারা নতুন কোনো সিদ্ধান্তও নিতে পারছেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার সিদ্ধান্তও আটকে আছে। কারণ পরিবার এমন মুহূর্তে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
নাসিমের চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়–য়া গত বৃহস্পতিবার জানান, নাসিমের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। উনার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, অবস্থার উন্নতি হয়নি, বরং অবনতির দিকে।
গত বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনায় ছিল নাসিমকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পরিবার। কিন্তু গতকাল তার পরিবার জানিয়েছে, এখন আর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তার। নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় জানান, বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় বিদেশে নেয়ার জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিত পারছি না।
ডা. কনক কান্তি বড়–য়াও বুধবার বলেছিলেন, চাইলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে বিদেশ নেয়া যেতে পারে। কিন্তু গত দুদিনে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় পরিবার বিদেশ নিয়ে যাওয়ার সাহস করছে না। ৩-৪ ঘণ্টার সফরে পথে যদি কিছু একটা ঘটে যায় এই চিন্তায় পরিবার এখনও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
গত ১ জুন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হলে ফলাফল পজিটিভ আসে। তবে সম্প্রতি মোহাম্মদ নাসিমের পরপর তিনটি করোনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ জুন শুক্রবার ভোরে তার ব্রেন স্ট্রোক হয়। সেদিনই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার হয়। এর আগেও তার একবার স্ট্রোক হয়েছিল। সব মিলিয়ে তার অবস্থা সংকটাপন্ন ও ডিপ কোমায় রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা।
শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম পঞ্চমবারের মত সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নাসিম এক সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। এখন মন্ত্রিসভায় না থাকলেও দলীয় কর্মকান্ডের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাসিম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।