Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোগীর বরাদ্দকৃত ওষুধ চোর সিন্ডিকেটের পকেটে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢামেক হাসপাতালসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে উঠা ওষুধ চুরির শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মচারী, কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ও কতিপয় দুনীতিবাজ ডাক্তারদের যোগসাজশে ওই চক্র বছরের পর বছর সরকারি ওষুধ চুরি করে আসছে। অথচ রোগীরা প্রাণরক্ষার প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। এই ওষুধ চোর চক্রের সদস্যরা হাসপাতালের বিভিন্ন পদে কর্মরতও রয়েছেন। হাসপাতালে তাদের ব্যাপক আধিপত্যও রয়েছে। এদের অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরা একদিকে যেমন সরকারি চাকরিজীবী, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। সম্প্রতি দু’টি হাসপাতালের ৩জনকে চুরির ওষুধসহ গ্রেফতার এবং তদন্তে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে একটি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু এর পরেও ওই সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে না রহস্যজনক কারনে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সংস্থার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালর (ঢামেক)সহ বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের রোগীর ওষুধ যাচ্ছে চোরের পকেটে। আবার ওষুধ না পেয়ে অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন। অথচ গরীব ও সাধারণ রোগীর ওষুধ রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপালের পাশের ফার্মেসিতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো কৌশলে নগরীর চাঁনখারপুল, মিটফোর্ড রোডসহ অলিগলির ফার্মেসিতে বিক্রি করে ওই চক্র।
সূত্র জানায়, ঢামেক রোগীদের জন্য বছরে ৭ থেকে ১০ কোটি টাকার ওষুধ ও সার্জিক্যালসামগ্রী ক্রয় করা হয়। এর বড় অংশ ওষুধ ও সার্জিক্যাল সামগ্রী চুরি হয়ে যায়। প্রতিদিন সেন্ট্রাল স্টোর থেকে নির্ধারিত ইনডেন্টের (চাহিদাপত্র) মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ নার্সরা অপারেশন থিয়েটার ও আন্তঃবিভাগে নিয়ে যায়। এরপর ওইসব জায়গা থেকে বিভিন্ন মাধ্যম বেহাত হচ্ছে মূল্যবান ওষুধ ও সার্জিক্যালসামগ্রী। আবার কখনও এসব ওষুধের ক্রেতারাও সরাসরি হাসপাতালে এসে ওষুধ ও সার্জিক্যালসামগ্রী সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ