পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিউইয়র্কের মাউন্ড সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে কোয়ারেন্টিনে রাখার কারণ জানতে চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল অ্যাডভোকেট এ.এম.জামিউল হক ফয়সালের পক্ষে ব্যারিস্টার গাজী ফরহাদ রেজা এ নোটিশ দেন।
ই-মেইলে পাঠানো নোটিশে স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (জননিরাপত্তা), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) সচিব এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রাপ্তির ২ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, দেশে করোনা রোগীর চিকিৎসার্থে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় আসার পর নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে কেন পাঠানো হয়েছে, কীসের ভিত্তিতে একজন করোনাযোদ্ধাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, যেখানে একই সময়ে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের এবং পরবর্তীতে চীন থেকে আসা ডাক্তারদেরও দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
নোটিশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট জামিল হক ফয়সাল বলেন, ডা. ফেরদৌস গত ৭ জুন বাংলাদেশের করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবা দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন করোনাভাইরাসে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী। ট্যাক্সের জন্য সেগুলো আটকে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে বাসায় যেতে না দিয়ে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেয়। অথচ ওই দিন চীন থেকে আগত মেডিকেল টিমকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি। নোটিশে এটির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ম্যানহাটনের প্রাচীনতম মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আশা ও ভরসার প্রতীক এবং করোনাভাইরাসের ভয়ে যেখানে বিশ্বের অনেক বাঘা বাঘা ডাক্তার তাদের চেম্বার বন্ধ রেখেছেন, সেখানে নিউইয়র্কের মৃত্যুপুরীতে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। তিনি দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। তবে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়, তাকে বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার ডা. ফেরদৌসের মতো মানুষদের খুঁজছে এবং শুধুমাত্র প্লাজমা হিরো হিসেবে নন, একজন প্রথিতযশা ডাক্তার হিসেবে দেশের অনেক মানুষের উপকারে আসতে পারেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।