বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরনের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের অপহৃত ছাত্রীর পিতা নুর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসরাম জানান, তার মেয়ে উপজেলার দক্ষিন রাজাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ শ্রেনীতে পড়াশুনা করে। পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভুইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্তাক্ত করতো। এ অবস্থায় গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যাক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে প্রধান সড়কে যায়। এসময় মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে জোর পুর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। সেই থেকে শরণখোলা থানায় মৌখিভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুজতে থাকেন। গত বুধবার (১০ জুন) অপহরন কারীরা তার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, অহরনের পর মুন্নার বাড়ির দোতালায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এসময় রাকিবকে সহযোগীতা করতো মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন।
এব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, উদ্ধার করে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার পিতা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালছে। শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্ধি গ্রহন ও ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বাগেরহাট পাঠানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।