পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন-“যে যতই শক্তিশালী হোক, যতই অর্থশালী, অস্ত্রশালী হোক, কোন শক্তিই কাজে আসছে না। করোনাভাইরাসই যেন সবচেয়ে শক্তিশালী।” প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচান করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের এত শক্তি হঠাৎ চুপসে গেল কেন? এর আগে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী হুংকার দিয়ে বলেছিলেন-আওয়ামী লীগ নাকি করোনার চেয়েও শক্তিশালী। সেই শক্তি গেল কোথায়? যে মন্ত্রী এই মন্তব্যটি করেছিলেন তিনি এখন ঘরের মধ্যে লুকিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের এই শক্তি শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী মত ও চিন্তার মানুষকে জুলুম-নির্যাতন করতেই ব্যবহার হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত কেউই এই সর্বগ্রাসী করোনার আগ্রাসনের মুখেও ত্রাণ চুরি থেকে নকল মাস্ক এর ব্যবসাসহ এহেন অনাচার অপকর্ম নেই, যেটির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। যার কারণে এখন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সর্বাধিক মাশুল দিতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এখন করোনার কাছে আত্মসমর্পনের সুর ধ্বণিত হচ্ছে। অথচ দম্ভোক্তি করে ‘নিজেদেরকে করোনার চেয়েও শক্তিশালী’ ভেবে পুরো লকডাউন না দিয়ে সাধারণ ছুটি ও ক্ষুধার্ত মানুষের জনরোষ থেকে ক্ষমতার ময়ুরের সিংহাসনে যাতে ধাক্কা না লাগে সেজন্য জীবন-জীবিকার প্রশ্ন উস্কে দিয়ে করোনার ভাইরাসকে আমন্ত্রণ জানাতে সবকিছু উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কালবৈশাখীর ঝড়ে বাংলাদেশ লন্ডভন্ড। হু হু করে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণের সংখ্যা বাড়ছে। গোরস্থানে লাশ দাফন করা যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ছুটি মার্কা তামাশা না করে নিশ্বিদ্র লকডাউন ও সর্বোচ্চ টেস্ট এবং রোগী শনাক্তকরণের মাধ্যমে সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধ করে করোনা থেকে মানুষকে রক্ষা করার যে পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল সেটি তারা করেননি।
সাধারণ মানুষ নয়, ক্ষমতাশালী-প্রভাবশালীরা কেবল চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, করোনার নমূনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে ১ কোটি লোক আবেদন করলেও সরকারি তথ্য অনুযায়ী এপর্যন্ত নমূনা পরীক্ষা হয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবার বাইরে রয়ে গেছে। যারা চিকিৎসা পাচ্ছেন মূলত: তারা ক্ষমতাশালী ও সরকারী প্রভাবশালী মানুষ। সিংহভাগ মানুষ কোন সেবাই পাচ্ছে না। এই হলো বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার হাল-হকিকত। তাহলে বিগত ১২ বছরে লাখ কোটি টাকার উপর যে বাজেট পেশ হয়েছে সেই টাকা গেল কোথায়? বাংলাদেশে ৩০ভাগ হাসপাতালে অক্সিজেনের কোন ব্যবস্থা নেই, ভেন্টিলেটর তো দুর আকাশের তারা। আইসিইউ বেড এখন সোনার হরিণের মতো স্বপ্নে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবে পাওয়া যায় না।
স্বাস্থ্য খাতে ১২ বছরে বাজেটে বরাদ্দকৃত টাকা শুধু লুটপাটেই ব্যয়িত হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে এই টাকা উধাও হয়ে গেছে বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে। আর দেশের সাধারণ মানুষ সবসময় চিকিৎসা বঞ্চিত থেকেছে। এখন বর্তমানে বিশ^ব্যাপী করোনা মহামারীর তান্ডবে এদেশের করোনা আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসার অভাবে এক বিভিষিকাময় মৃত্যুর সম্মুক্ষীণ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।