পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি অর্থবছরের মতো এবারও ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ৮ হাজার ৭২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) এই খাতে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল ৭৯ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। তবে তা সংশোধিত বাজেটে দাঁড়ায় ৭৭ হাজার ৩৮ কোটি।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এবারের বাজেট বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় এটাই সর্বোচ্চ বরাদ্দ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন উপলক্ষে বাজেট বক্তৃতায় শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান। যা বাজেটের মোট বরাদ্দের ১৫ দশমিক ১ শতাংশ। তিনি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে মাথায় রেখে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল নতুন অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শিক্ষাখাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রস্তাব করলেও তা জিডিপির অনুপাতে সামান্যই। আন্তর্জাতিক মানদÐ অনুযায়ী, একটি দেশের শিক্ষা খাত জিডিপির ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ পেলে তা আদর্শ ধরা হয়। জাতীয় সংসদে আসন্ন নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ২৪ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ২৩ হাজার ৭০১ কোটি টাকা (সংশোধিত)। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ৩৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ২৮ হাজার ৪০০ কোটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা, চলতি অর্থবছরে ১৬ হাজার ৪৩৮ কোটি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে ১ হাজার ৪১৫ কোটি, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ১৯২ কোটি এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে ৮ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, শিক্ষাখাতে আগামী অর্থবছরের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে দীর্ঘ ছুটির ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এ কাজের জন্য আগামী বছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় সম্পদের যোগান রাখছি। প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে আমরা সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি এবং এ বছরেই সমাপ্ত হতে যাওয়া সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নীট ভর্তির হার, ৫ম গ্রেড পর্যন্ত অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর হার এবং সাত বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিকের সাক্ষরতার হারকে শতভাগে উন্নীত করার সাহসী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, নতুন জাতীয়করণকৃত ও বিদ্যমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ এবং আইসিটিসহ শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা, ৫০৩টি মডেল বিদ্যালয়ে ইন্টারঅ্যাকটিভ ক্লাসরুম করা হয়েছে। অচিরেই সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইটি করে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরসহ ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য অ্যাসিসটিভ ডিভাইস তথা হুইল চেয়ার, ক্রাচ ও হিয়ারিং এইড সরবরাহ করছি। পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের নিজস্ব বর্ণমালায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বিষয়ে বক্তৃতায় বলা হয়, গত এক দশকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার প্রসারে সরকার অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এখন আমরা শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষার গবেষণার উপরে জোর দিচ্ছি। শিক্ষা খাতে ইনোভেশনের মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়নকেও উৎসাহিত করে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।