পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা কমলেও পিছিয়ে নেই সাত মেগা প্রকল্পের কাজ। দেশের ৭টি মেগা প্রকল্প এগিয়ে নিতে আগামী অর্থবছরে ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বরাদ্দ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন বাজেটের আকার হচ্ছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা।
সাতটি মেগা প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) খসড়া চূড়ান্ত করছে পরিকল্পনা কমিশন। নতুন এডিপির আকার ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা খরচ করা হবে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে নতুন এডিপিতে। সেই হিসাবে বরাদ্দ বেড়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
উন্নয়ন বাজেটে মেগা প্রকল্পের মধ্যে সর্বোচ্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সর্বনি¤œ পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকটে ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। নতুন এডিপিতে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে এগিয়ে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের স্বপ্নের প্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ। পায়রা বন্দর বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে এখানকার চিত্র।
করোনা সংকটের মধ্যেই চলমান পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ। সেতুর কাজ সামনে আরো এগিয়ে নিতে এই প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। মেট্রোরেল-৬ প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো ছিল। তবে করোনা প্রকল্পের গতিরোধ করেছে। এরপর সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ ২০২১ সালের বিজয় দিবসে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই জন্য নতুন অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পদ্মাসেতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রাজধানীর কমলাপুর থেকে গেÐারিয়া-কেরাণীগঞ্জ-শ্রীনগর থেকে মাওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা থেকে নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। জানুয়ারি ২০১৬ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, শেষ হবে ২০২৪ সালের জুনে। আগের পরিকল্পনায় কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে গ্রæপ। প্রকল্পে কাজ এগিয়ে নিতে নতুন অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এই কেন্দ্র থেকে। ২০২৪ সালে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। ২০১৫ সালের আগস্টে মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে। বাকি টাকা দেবে সরকার। মহেশখালীর মাতারবাড়ী ও ঢালঘাটা ইউনিয়নের এক হাজার ৪১৪ একর জমিতে হচ্ছে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে নতুন এডিপিতে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।