পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন অর্থবছরের (২০২০-২১) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হয়নি বলে অভিমত দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ভলগ (সিপিডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে যে অনুমিত এ বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে যেটা কাজ করেছে সেটা বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন করে না। কারণ সম্পদ আহরণ থেকে সম্পদ ব্যয়ের যেসব প্রস্তাব আমরা দেখেছি তাতে বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল চিত্র ফুটে উঠেছে। মনে হয়েছে আমরা খুব দ্রুত কোভিড-১৯ থেকে পরিত্রাণ পাব এবং অর্থনীতি তার পুরোনো ধাচে ফেরত যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে স্বাস্থ্যঝুঁকি আমরা দেখছি তাতে এত দ্রুত কোভিড থেকে পরিত্রাণ পাবো বলে মনে হচ্ছে না। কোভিডের এই চলমান অভিঘাত আমরা স্বাস্থ্যখাতে, সামাজিক খাতে দেখছি। আমরা একটা মানবিক ঝুঁকি হিসেবে দেখছি, অর্থনৈতিক ঝুঁকি তো আছেই। এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য বাজেটে যে ধরনের কাঠামো থাকা দরকার আমাদের মনে হয়েছে সেটা পরিপালন করা হয়নি’।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, বাজেটে তিন লাখ ৭৮ হাজার টাকার সম্পদ আহরণের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এটা চলমান সংশোধিত বাজেটে সম্পদ আহরণের কথা বলা হয়েছে তিন লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এটা তার থেকে হয়তো ৯ শতাংশ বেশি হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত যে আয় হবে বলে আমরা ধারণা করছি, সেটা আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি এ বছর হবে না। সেটা যদি বিবেচনায় নেয়া হয় তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫০ শতাংশের মতো বেশি সম্পদ আহরণের একটা লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিকে চালু করার জন্য এক লাখ তিন হাজার কোটি টাকার ১৯টি প্যাকেজ দিতে হচ্ছে। সেখানে যে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার একটা রাজস্ব বাজেট আমরা দিচ্ছি, এই অনুমিত বাজেট আমাদের কাছে খুব বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। বাজেটের দুর্বল কাঠামো নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। কারণ কাঠামোটা একটা বাস্তবসম্মত সম্পদ আহরণের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। ফলে ঘাটতি অর্থায়নের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে।
বাজেটে সামাজিক সুরক্ষাখাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা আরও বাড়ানো উচিত ছিল বলে অভিমত দিয়েছে সিপিডি। এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামাজিক সুরক্ষার জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা আরও বাড়ানোর দরকার ছিল। অনেকের আয় কমে গেছে, বেকার হয়ে গেছে। ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার কোটি টাকা সরাসরি ক্যাশ ট্রান্সফারের কথা বলা হচ্ছে। আমরা মনে করি এসব খাত আরও সম্প্রসারণের প্রয়োজন ছিল।
অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়ার সমালোচনা করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ এবার আরও স¤প্রসারিত করা হয়েছে। আমরা বলেছি এটা নৈতিক দিক থেকেও কাম্য নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটা খুব একটা লাভজনক নয় এবং রাজনৈতিক দিক থেকেও এটা বর্তমান সরকারের পক্ষে যাবে বলে মনে হয় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।