পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট শেয়ারবাজার উন্নয়নের জন্য অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগসহ নানা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কোন কোন করদাতার রিটার্ন দাখিলে অজ্ঞতার কারনে তাদের কিছু অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রু টি বিচ্যুতি থাকতে পারে। এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের ত্রু টি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর অধ্যাদেশে দুটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।
প্রথমত, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেনো, আগামি ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতারা আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও এপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের উপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোন সিকিউরিটিজের উপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।
দ্বিতীয়ত, শেয়ারবাজারকে গতিশীল করার জন্য ৩ বছর লক-ইনসহ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে আগামি অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাগন বিনিয়োগ করলে এবং বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশ কর প্রদান করলে, আয়কর কর্তৃপক্ষসহ কেউ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজার গতিশীল করার জন্য ৬টি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া, ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের তারল্য সংকট দুর করতে বেসরকারি ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারের ব্যাংকের মোট বিনিয়োগ হিসাবায়নের আওতা বহির্ভূত রাখার বিধান করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারকে উৎসাহ প্রদানের জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়করমুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রাপ্ত লভ্যাংশের উপর দ্বৈত কর পরিহার করা হয়েছে। মুনাফার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা বাধ্যতামূলক হয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারিতে শেয়ারবাজারেও তারল্য সংকট তৈরী হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলা হয়। অবশেষে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএমবিএ) এর সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মহামারির মধ্যে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় শেয়ারবাজার গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীসহ সবাই উপকৃত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।