Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঋণনির্ভর এ বাজেটে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে -খেলাফত মজলিস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ৮:০৭ পিএম

খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক যৌথ বিবৃতিতে আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী উত্থাপিত প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে অন্ত:সারশূণ্য আখ্যায়িত করে বলেছেন, বিশাল অংকের ঋণনির্ভর এ বাজেটে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। আর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা যা অর্জন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
আগামী অর্থবছরে শুধু সুদ প্রদানে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৮০ হাজার ১৭ কোটি টাকা। বিশেষ করে, দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে নিয়ে নিলে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাঁধাগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে জনগণের উপর জাতীয় ঋণের বোঝা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে জনগণের ট্যাক্স ভ্যাটের অর্থ চলে যায় দুর্নীতিবাজদের হাতে। স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান বিপর্যস্ত অবস্থা দেশে চলমান সীমাহীন দুর্নীতির বহি:প্রকাশ। প্রস্তাবিত এ বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রেখে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২ শতাংশ তা কোনভাবেই অর্জন সম্ভব নয়। বিশ^ব্যাংক ইতোমধ্যেই ধারণা দিয়েছে নতুন ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ শতাংশ। এরকম কল্পনা বিলাসী বাজেটে দেশের অর্থনীতি সামনে এগুবে না। দেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট বেকারত্বতো আছেই।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগনের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানো হয়েছে। করের আওতা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষদের উপর নতুনভাবে করারোপ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বছর ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা গত বছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। প্রতি বাজেটেই সরকার সাধারণ জনগণের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। নতুন বাজেটের মোবাইল ব্যবহার ব্যয়, ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যয়, বাইসাইকেল ইত্যাদির দাম বাড়বে। বিশেষকরে মোবাইলে ১০০ টাকা ঢুকালে সরকার ২৫ টাকা নিয়ে নিবে। স্বাস্থখাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। বুর্জোয়া বান্ধব এ বাজেটে সাধারণ জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। গরীব মারার এ বাজেট জনগণের কাছে কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হবে না।



 

Show all comments
  • jack ali ১১ জুন, ২০২০, ৯:০৪ পিএম says : 0
    Why not you muslim scholar unite under one umbrella of Islam and rule our Beloved country by the Law of Allah and all the problem will be solved.. You people just talk>>> In Islam.. Action Speak and also Prevention is Better Than Cure.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ