পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারী দুর্যোগকালে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। ভিন্ন পরিস্থিতিতে বাজেটে মানুষের চাওয়ায় আছে কঠিন বাস্তবতা ও ভিন্নতা। হিসাব-নিকাশ বদলে গেছে। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে সবারই প্রত্যাশার চোখ কর্মসংস্থানে। করোনার কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে কর্মসংস্থানে ধস নেমেছে। অথচ গেল মার্চ মাসের আগেও বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে চলমান প্রকল্পগুলোকে ঘিরে লাখো তরুণের চোখের সামনে কর্মসংস্থানের পাহাড়সম স্বপ্ন আর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে স্বপ্নপূরণের সুযোগ এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি।
চট্টগ্রামের অর্থনীতিবিদ, শিল্পোদ্যোক্তা, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ : ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ সালের যে বাজেট পেশ করছেন তাতে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং বলিষ্ঠ প্রত্যয়, অবিচল লক্ষ্য থাকলে অর্থনীতির নয়া রাজধানীর পথে এগিয়ে যাবে চট্টগ্রাম।
করোনার অভিঘাতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে গিরিখাদের মুখে পড়েছে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ ৮৫টি চলমান প্রকল্প। এরমধ্যে অর্ধ ডজন মেগাপ্রকল্প। খাদের কিনারা থেকে এগুলো টেনে তোলার কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে ইতোমধ্যে চীন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চলমান প্রকল্পবহর বাস্তবায়নে অব্যাহত আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে চীনা সহায়তায় উত্তর চট্টগ্রাম থেকে মহানগরী হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-মহেশখালীর মাতারবাড়ী-ধলঘাট, সোনাদিয়া, আরও পূর্বে টেকনাফ পর্যন্ত এক ডজনেরও বেশি মেগাপ্রকল্প, গুচ্ছ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যার বড়সড় দিক হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ জ¦ালানি হাব বা কেন্দ্র। এরসঙ্গে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) গোড়া থেকেই সম্পৃক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ৬৩টি শিল্প-বাণিজ্যিক প্রকল্প। কক্সবাজারে চলমান ডজন সংখ্যক দেশি-বিদেশি কোম্পানির ২২টি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের প্রত্যাশার নিরেখে নয়া ২০২০-২১ সালের বাজেট প্রসঙ্গে প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মেগাপ্রকল্প ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প মূলত পুঁজি বিনিয়োগে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। কেননা প্রকল্পগুলো শ্রমঘন নয়।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, করোনায় দেশের অর্থনীতির সকল খাত উপখাতকে বিপর্যস্ত করেছে এবং এই অভিঘাত অব্যাহত রয়েছে। তাই এবার বাজেট হবে অস্তিত্ব রক্ষা করার। ধস ও ধকল কাটাতে আমাদের কমপক্ষে দুই বছর অতিবাহিত হবে। বাজেটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকা চাই স্বাস্থ্যখাতে। করোনায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের রুগ্ন ও ভঙ্গুরদশা ফুটে উঠেছে।
চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চীন, জাপানসহ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় মেগাপ্রকল্পগুলো অব্যাহত থাকবে এ ব্যাপারে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। করোনা কাটিয়ে চীন বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছে। এর ফলে আপাতত থমকে থাকা চট্টগ্রাম অঞ্চলের অবকাঠামো প্রকল্প ও মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠি বেকার। তাদের কর্মসংস্থানে থাকতে হবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।