Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে করোনায়ও অস্ত্রের আনাগোনা

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২০, ১২:৩৩ এএম

চট্টগ্রামে করোনাকালেও থেমে নেই অস্ত্রের আনাগোনা। সক্রিয় অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সীমান্ত হয়ে আসছে অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্র। দেশে তৈরি অস্ত্রও যাচ্ছে অপরাধীদের হাতে। মাঝে-মধ্যে কিছু অস্ত্র ধরা পড়লেও বেশিরভাগ চালান নিরাপদে পার হয়ে যাচ্ছে। মহামারীতেও থেমে নেই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার। খুন, সংঘর্ষ, ছিনতাই, ডাকাতিতেও অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। এতে জননিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে।

গতকাল বুধবার সীতাকুন্ডে তিনটি ওয়ানশুটারগান, সাত রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে পাকড়াও করেছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার দুই পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে চারটি অস্ত্র, চারটি ম্যাগজিন ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগের দিন র‌্যাবের হাতে তিনটি অস্ত্রসহ ধরা পড়ে আরও এক সন্ত্রাসী। তিনদিনে ১০টি অস্ত্র ও বিপুল গুলি উদ্ধার হয়।

ইউপিডিএফের দ্ইু ক্যাডারের কাছ থেকে উদ্ধার চারটি পিস্তল আমেরিকা ও ইতালির তৈরি। সীমান্ত হয়ে এসব অস্ত্র দেশে এসেছে। অস্ত্রের উৎস খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। বান্দরবান থেকে খাগড়াছড়িতে নেয়ার পথে নগরীর বায়েজিদ থানার বালুচড়ায় পুলিশ চেকপোস্টে এসব অস্ত্র ধরা পড়ে। এসময় গ্রেফতার হয় ইউপিডিএফ ক্যাডার প্রকাশ তালুকদার (২৯) ও জনপ্রিয় চাকমা ওরফে প্রিয় চাকমা (৩০)। এসব অস্ত্র খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে জলেয়া চাকমা তুরুর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
অস্ত্রের যোগানদাতাকে খুঁজছে পুলিশ। সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, যে দুজন ধরা পড়েছে তারা স্বীকার করেছেন বান্দরবানের রুনেল নামে এক ব্যক্তি এসব অস্ত্র এনে হাটহাজারীতে তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এই দুুইজনকে রিমান্ডে এনে জড়িতদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওসি প্রিটন সরকার জানান, দুজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
পাহাড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে বিপুল অস্ত্র রয়েছে। প্রতিনিয়তই তারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। ব্যবহার হচ্ছে ভারী অস্ত্র। সীমান্ত হয়ে এসব অস্ত্র আসছে। তাদের হাত ধরে অস্ত্রের একটি অংশ চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের হাতে চলে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়েও অস্ত্র তৈরি হচ্ছে। এসব অস্ত্র কিনে নিচ্ছে অপরাধীরা। সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়া-পটিয়া সীমান্তবর্তী পাহাড়ে এমন একটি কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব। সেখান থেকে অস্ত্র গুলি ছাড়াও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। র‌্যাব জানায়, সেখানে তৈরি অস্ত্র বৃহত্তর চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের কাছে বিক্রি হতো। এর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের মহেশখালী, পেকুয়া, চকোরিয়া, ঈদগাঁওতেও এমন কারখানা ধরা পড়ে র‌্যাবের হাতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ