পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘনত্ব বিবেচনায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়। সেই থেকে ওই এলাকা থেকে কেউ বের হতে পারছে না, কাউকে প্রবেশ করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে ওই এলাকার লকডাউন বিষয়ক ঘোষণা আসার পর স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার আতঙ্কে অনেককে এলাকা ছাড়তে দেখা গেছে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পূর্ব রাজাবাজার এলাকার আটটি প্রবেশপথের মধ্যে শুধু আইবিএ হোস্টেলের পাশেরটি খোলা রয়েছে। তবে সেই পথটি দিয়েও ওই এলাকায় অবস্থানরত সংবাদকর্মী, চিকিৎসক ও নার্স ছাড়া কাউকেই প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রবেশপথে পুলিশের অবস্থানএদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন পেশার লোকজন পরিচয়পত্র নিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আসলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। অনেকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা ও বারবার অনুরোধ করেও এলাকা থেকে বের হতে পারেননি। কর্মস্থলে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বাসায় ফিরে গেছেন।
এলাকাবাসীকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে কাউন্সিলরের নির্দেশে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবক সকাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান শুভ নামের এক স্বেচ্ছাসেবক। তিনি বলেন, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারের ভ্যান আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল। সেগুলো এলাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সকালে কাজে যোগ দিতে বের হন বারডেম হাসপাতালের নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাহিলা খানম। তিনি বলেন, সরকার জনসাধারণের ভালোর জন্যই কঠিন সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। যদিও এলাকাবাসীর বেশ কয়েকদিন কষ্ট হবে, তবু উচিত বিষয়টি মেনে চলা। অন্যদিকে, কাজে যোগ দিতে যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সায়মন সিয়াম নামে একজন। তিনি বলেন, অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছি। কিছুতেই বের হতে দিচ্ছেন না পুলিশ সদস্যরা। এভাবে ১৪ দিন লকডাউন থাকলে হয়তো চাকরিটা নাও থাকতে পারে।
মূলত কারা কারা এই মুহূর্তে এলাকা থেকে বের হতে এবং প্রবেশ করতে পারছেন, জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সনজিৎ বলেন, এই মুহূর্তে আমরা এই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা সাংবাদিক, ডাক্তার ও নার্স শুধুমাত্র তাদের বের হতে এবং প্রবেশ করতে দিচ্ছি। এর বাইরে অন্য কোনও পেশার কাউকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু, একান্ত জরুরি প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি ভেবে দেখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।