বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের সুফল দেখল না ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। অল্প বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাটু পানি। আর দূর্ভোগে পড়তে হয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষদের। সড়কের পাশে পানি চলাচলের জন্য উপজেলা প্রশাসন এক বছর আগে ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ করলেও তার সুফল দেখল না কেউ।
উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানাযায়, পিএবি সড়কের চাতরী চৌমহনী বাজারের পানি নিস্কাসনের জন্য ২০১৯ সালে উপজেলা প্রশাসন ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। এর মধ্যে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ, চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরী, গোলচত্বর তৈরী রয়েছে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সড়কে পূর্বেও অবস্থা ফিরে আসায় জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বৃষ্টির পানির জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলেও যথাযত সংরক্ষনের ব্যবস্থা না করায় বর্জ্যরে জমাট বেঁধে বন্ধ হয়ে যায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। আর জমে থাকায় বৃষ্টির পানি ও কাদায় রাস্তা হয়ে উঠেছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে বাজারের পাশের সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদেরও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। মার্কেটে ঢুকতে দূর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতারা, ব্যবসায়ী ও হাজারো পোষক শ্রমিকরা।
গতকাল বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইট থেকে সিইউএফএল সড়ক চাতরী কাঁচা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ ফুট প্রশন্ত সড়কের উভয় পাশেই গড়ে উঠেছে শতাধিক দোকান। এই দোকান গুলোর কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সড়কের উল্টোদিকের ফুটপাতের পুরোটাই অবৈধ দখলে। পথচারীদের চলাচলের জন্য কেনো জায়গা রাখা হয়নি সড়কের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েন কেইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। পানি চলাচলের ড্রেন থাকলেও পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এটা বৃষ্টির মৌসুম, এসময় প্রায়ই বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের দূর্ভোগে শেষ নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ওই স্থানে ড্রেন আছে, কিন্তু আউটলেট নেই। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সড়কটির আশপাশের ব্যবসায়ীদের বর্জ্য ড্রেনে ফেলার কারণেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক দখল করে যারা অবৈধভাবে দোকান গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।