বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় ক্ষমতা সংশ্লিষ্টরা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, দখল ও নিয়োগবাণিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে কুয়েতে এমপি গ্রেফতার তারই একটি নমুনা মাত্র। মানবপাচার ও হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে কুয়েতে লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত, শুধু পাপলুই একাই এমপি হননি, তার স্ত্রীকেও এমপি বানিয়েছেন। যাদের ধনস্ফীতির কোন বৈধ উৎস জানা যায় না, তাদেরকেই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে-প্রকৃত রাজনীতিক ও রাজনীতিকে ধ্বংস করে। এরা ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই জনগণই ক্ষমতার উৎসকে বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় করে পাপলুদের পরিচর্যা করা হয়েছে নিরন্তরভাবে। পাপলুদের অপকর্মের দায় সরকার এড়াতে পারে না।
বুধবার (১০ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক চলে। বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাতের ভোটে এমপি বানিয়ে দেন। লক্ষীপুরের সেই এমপি তারই একটি উদাহারণ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য চরম লজ্জার হলেও সরকারের টনক নড়েনি। গালফ নিউজ ও কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মানব পাচার ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে অন্তত: একশ ব্যক্তির তালিকা করেছে কুয়েত সরকার। সেই তালিকায় ঐ এমপির নাম শীর্ষে রয়েছে। দেশটির গোয়েন্দারা আটকের পর বর্তমানে তিনি সেদেশে রিমান্ডে রয়েছেন।
সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে করোনায় মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, সরকারি প্রেসনোটে প্রতিদিন যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে বাস্তবতার সাথে তার কোন মিল নেই। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার একটি ভেন্টিলেটরের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। প্রতি বছরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট দশ হাজার থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে যদি স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি করা হতো তাহলে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়তো না।
তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সমন্বিত ও গোছানো কোন কাজ হয়নি। সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ঔদ্ধত্য কথাবার্তার মাধ্যমে তারা এই সংকটকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। রোগীদের দুর্দশা চরম আকারে, অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা পাচ্ছে না, জনগণ দিশাহারা হয়ে রাস্তাতেই ঘুরতে ঘুরতে প্রাণ হারাচ্ছে। দিনের পর দিন ঘুরেও করোনার পরীক্ষা করানো যাচ্ছে না। এই সরকারের স্বাস্থ্যসেবা এমনই যে, করোনা আক্রান্ত মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দেশজুড়ে চলছে শোকার্ত মানুষের আহাজারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।