পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এ পর্যায়ে তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং সাবেক সিলেট সিটির মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের কিছুটা শারীরিক উন্নতি হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া জানান, মোহাম্মদ নাসিমের কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিতে যোগাযোগ করছে।
এদিকে, মোহাম্মদ নাসিমের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, উনার এখন কোভিড-১৯ বড় সমস্যা না। বড় বিষয় যেটা, সেটা হলো ব্রেন স্ট্রোক। করোনা থেকে মোহাম্মদ নাসিম আরোগ্য লাভ করছিলেন। উনাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তে ব্রেন স্ট্রোক করেন। এখনও উনার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখছিলেন। পরে ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে সময় বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন।
৮ জুন দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষ হয়। তবে তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে। গত সোমবার তার দ্বিতীয় বার করোনা টেস্ট করা হয়। গতকাল রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।
এদিকে সিএমএইচে ভর্তি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তবে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার একান্ত সচিব বিশ্বাস রাসেল হোসেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ইশারা, ইঙ্গিতে নয়, টুকটাক কথা বলতে পারছেন। গতকাল দুপুরে খাবার গ্রহণকালে ছোট ভাই এনাম আহমদকে বলেন, আমার বমি বমি ভাব কমেছে, ভালোবোধ করছি, দোয়া করো আমার জন্য। তার ছ্টো ভাই এনাম সিএমএইচে চিকিৎসা নেয়া কামরানের সাথে রয়েছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে গত শনিবার সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকে বিমানবাহীনির এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হয় ঢাকায় সিএমএইচ-এ। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে কামরানকে । গত সোমবার প্রথম প্লাজমা দেয়া হয়েছে তাকে। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির পথে। গতকাল সকালে হাসপাতালের সরবরাহকৃত খাবারও খেয়েছেন তিনি। এদিকে কামরানের মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য গুজব রটে যায় সর্বত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।