Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আংশিক লকডাউনের পরিকল্পনা চট্টগ্রামে

দোটানায় মাঠ প্রশাসন জনপ্রতিনিধিরা

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে আংশিক লকডাউনের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সরকার চায় প্রধান বন্দরসহ ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজস্ব আহরণ, শিল্প-কারখানায় উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান চালু থাকুক। আবার লকডাউন কার্যকরের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামে আছে নানামুখী জটিলতা।
লাল, হলুদ ও সবুজ জোন ঘোষিত হলে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মের ফাঁদে পড়বে একই নগরীর পাশাপাশি অন্যান্য এলাকা। ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহন কার্যক্রমে পড়তে পারে তার বিরূপ প্রভাব। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, জীবন-জীবিকা, যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পাজল গেইমের মতো জটিল অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাতে মানুষজন ভোগান্তি পোহাবে।

বন্দরনগরী, শহরতলীসহ চট্টগ্রাম বিভাগে গত দেড় মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণে সাধারণ গতি থেকে গত ১৫ দিনে ঊর্ধ্বগতি নিয়েছে। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া ৪ হাজার, মৃত্যু একশ’। করোনায় এবং উপসর্গে মৃতদের দাফন ও সৎকারকারী সংগঠনগুলোর খাতায় মৃতের হিসাব আরও দ্বিগুণ। তার উপর খুবই অপ্রতুল টেস্টসহ চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় চলমান করুণ সঙ্কট আর সীমাবদ্ধতা কাটেনি। প্রতিদিনের হয়রানি জনদুর্ভোগ সীমাহীন।

এ অবস্থা সামাল দিতে সরকার চট্টগ্রামে লকডাউন কার্যকরের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর-শিপিং, রাজস্ব প্রতিষ্ঠান, চালু থাকা শিল্প-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি পণ্যসামগ্রী খালাস, ডেলিভারি পরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যাতে উল্টো লকডাউন ফাঁদে না পড়ে সম্ভাব্য সেসব সমস্যার দিকও আগাম হিসাব-নিকাশে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্র জানায়, বাণিজ্যিক ও বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে জেলা-উপজেলাভেদে লকডাউন কার্যকরের মাধ্যমে লাল, হলুদ ও সবুজ জোন চিহ্নিত করা হবে। এরজন্য কার্যত চট্টগ্রামে ‘শেষ থেকে শুরু’ করা হচ্ছে! অর্থাৎ গত মার্চ থেকে বিশে^র বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ ছেড়ে বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামের প্র্রবাসীফেরত, আবার ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন না মানা অথবা এড়িয়ে চলা এলাকাগুলো পড়বে রেডজোনে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ভঙ্গের প্রবণতা, সংক্রমণ বৃদ্ধি, আক্রান্ত ও মৃত্যুহার, উপসর্গে মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিবেচনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে রেডজোন, হলুদ জোন ও সবুজ জোনগুলো। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন বা রেডজোন ঘোষণা করা হচ্ছে না। মহানগরী, শহরতলী, গ্রাম তথা উপজেলাসমূহের আংশিক লকডাউন হবে। তবে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিগণ বলছেন, চট্টগ্রামে তিন কালারের জোনের ধারণার সঠিক প্রয়োগ ও কার্যকরের জন্য প্রয়োজন আলাদা গাইডলাইন। কেননা চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের আলোকে লকডাউন ভারসাম্য প্রয়োজন। তবে লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে এখনও দোটানায় মাঠ প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিরা।
চট্টগ্রামে হাটহাজারী, পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড, মীরসরাই, ফটিকছড়ি উপজেলা পর্যায়ক্রমে লকডাউন করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোতোয়ালী, পতেঙ্গা, হালিশহর, বায়েজিদ, ডবলমুরিং, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ থানা এলাকাগুলো ধাপে ধাপে লাল, হলুদ ও সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে রোডম্যাপ এগিয়ে চলেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ