Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সিরাজদিখানে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন: কৃষকের মুখে হাসি

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের কুসুমপুর গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে। গ্রামের প্রায় এক একর জমিতে এ সূর্যমুখী আবাদ করেন সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুট। উপজেলায় তিনিই প্রথম সূর্যমুখীর আবাদ করেছেন। সূর্যমুখী থেকে তেল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। যা খাবার হিসেবে খেতে সুস্বাদু। সাধাণত বছরের মার্চ মাসের শুরুতেই এ আবাদ করা হয়। ৩ মাসের ব্যবধানেই এ সূর্যমুখী পরিপক্ক হয়ে উঠে। এরপর দানা সংগ্রহ করে তা থেকে তেল উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

এদিকে জুনের শুরুতে পরিপক্ক সূর্যমুখী থেকে দানা সংগ্রহ হয়েছে। তবে সূর্যমুখী আবাদের পর বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে টিয়া পাখির উপদ্রবে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে আবাদ করা সূর্যমুখীর ক্ষতি সাধনের সঙ্গে টিয়া পাখির হানা পড়েছে। দানা সংগ্রহের সময় প্রথমে ফুলগুলো এনে রোদে শুকাতে হয়। পরে শুকনো ফুলের উপর লাঠির আঘাত করলেই দানাগুলো নীচে পড়ে যায়। এভাবেই সংগ্রহ করা হয়ে থাকে সূর্যমুখীর দানা। দানাগুলো সংরক্ষণ করা যায়। আর দানা থেকেই উৎপাদন হয়ে থাকে সূর্যমুখী তেল।

সূর্যমুখীর ভালো ফলন হওয়ায় হাসি ফুটে উঠেছে কুসুমপুর গ্রামের সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুটের মুখে। টিয়া পাখিতে দানা খেয়ে ফেলছে-তাতে কোনো আক্ষেপ নেই তার। তিনি বলেন, নিজেই সূর্যমুখী তেল খেয়ে থাকেন। নিজের জন্য ছাড়াও ভবিষ্যতে এ তেল বাজারজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। চলতি বছর এক একর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করেছেন। আগামীতে ৩ থেকে ৪ একর জমিতে আবাদ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এক একর জমিতে সূর্যমুখী আবাদে এ পর্যন্ত তার ২৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আরও ১০ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করে কেমন লাভ হবে তা এখনও জানা নেই তার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, এ উপজেলায় একমাত্র কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ে ও টিয়া পাখির ঝাঁক এসে সূর্যমুখীর দানা খেয়ে সামান্য বিনষ্ট হয়েছে। তবে ওই একমাত্র কৃষকের পাশাপাশি উপজেলায় আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সূর্যমুখী আবাদ করলে টিয়া পাখির উপদ্রব কমবে। এ বছর সূর্যমুখীর ফলন ভালো হয়েছে। মার্চের প্রথম দিকে সূর্যমুখীর আবাদ করা হয়ে থাকে। জুন মাসেই সূর্যমুখীর দানা সংগ্রহ করে থাকে চাষীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ