Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরগঞ্জে ঝড়ে বিধ্বস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, সংস্কারসহ জাতীয়করণের দাবি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ৩:৩৬ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ঝড়ে বিধ্বস্ত ছাপড়হাটি বড় আখড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সংস্কার করে লেখাপড়ার উপযোগি করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। করোনায় কারণে সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ থাকায় বাড়িতে বসে দাপ্তরিক কাজ প্রতিষ্ঠান প্রধান করলেও যে কোন সময় পাঠদানের নির্দেশনা এলে এই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের কোথায়, কিভাবে পাঠদান করা হবে তা নিয়ে নানা ধরণের দুঃচিন্তায় রয়েছেন সেখানকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এলাকাবাসীর দাবি শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিতে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়টি সংস্কারে বরাদ্দসহ জাতীয় করণ করা হোক।
জানা যায়, উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের বড় আখড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ওই এলাকার শিক্ষানুরাগী পঙ্কজ কুমার রায় ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন। জমি,অর্থসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে আসছেন তিনি সেই থেকে। বর্তমান প্রতিষ্ঠানে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। সরেজমিনে দেখা দেখা গেছে,অফিস ও শ্রেণিকক্ষসহ বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে আশপাশ বিভিন্ন গাছের উপর ও ফসলি জমির উপর লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছে। এসময় স্থানীয়রা জানান, ঈদ-উল ফিতরেরর দিন সকাল ৬ টার দিকে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টি বিধ্বস্ত হয়। আশপাশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। এ গ্রামের কোমলমতি শিশুরা তাদের নিকটবর্তী এ প্রতিষ্ঠানটিতে লেখাপড়া করতো। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে কোন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। বিদ্যালয়টি দ্রুত সংস্কার করা না হলে শিক্ষার্থীরা কোথায় লেখাপড়া করবে তা নিয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি এলাকাবাসিও চিন্তায় রয়েছেন।
জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পঙ্কজ কুমার রায় জানান, এ এলাকার শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা সহজ করতে ও স্থানীয় বেকার শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্ত এখন পর্যন্ত জাতীয় করণ না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করে করছে। তাতে আবার ঝড়ে বিধ্বস্ত হলো বিদ্যালয়। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। প্রধান শিক্ষক সুজন বলেন, পারিশ্রমিক ছাড়াই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পাঠদান করে আসছি। কোন প্রকার বেতন ছাড়াই অতি কষ্টে দিন পার করছি। কয়েকজন এলাকাবাসি বিদ্যালয়টি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারসহ জাতীয় করণ করার দাবি জানিয়ে বলেন প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করার কথা স্বীকার করে জানান, আবেদন করলে সংস্কার কাজের বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ