পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়বারের মত করা পরীক্ষায় নাসিমের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। আগামীকাল বুধবার আবারও তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
বাংলাদেশ স্পোশালাইজড হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান চৌধুরী এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তবে আর অবনতিও হয়নি।
রাজধানীর শ্যামলীর বেসরকারি এই হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছেন মোহাম্মদ নাসিম। চিকিৎসকেরা পরবর্তী পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত এ অবস্থায়ই তার চিকিৎসা চলবে। এর আগে সোমবার রাতে বৈঠক করেছেন তার মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক। স্বাস্থ্যের অবনতি না হওয়ায় তারা কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তারা কিছু ওষুধ পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
এর আগে রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে গত ১ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওইদিনই তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে তিনি ম্যাসিভ ব্রেন স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এর পর ডিপ কোমায় চলে যান নাসিম। গত কয়দিনে তার স্বাস্থ্যের কোনো উন্নতি হয়নি।
শনিবার মোহাম্মদ নাসিমের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেয় মেডিকেল বোর্ড। তবে ৭২ ঘণ্টা শেষে কোনো উন্নতি না হওয়ায একইভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এখনও চিকিৎসকদের বিশেষ নজরদারিতে আছেন নাসিম।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সোমবার সন্ধ্যায় জানান, উনার অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। আগের অবস্থাতেই আছেন। ক্রিটিক্যাল অবস্থায় যাওয়ার পর থেকেই লাইফসাপোর্টে আছেন।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় নেতা শহীদ মনসুর আলীর ছেলে। তিনি পঞ্চমবারের মতো সংসদে সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। পরের বছর মার্চে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও তাকে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নাসিম একসঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৯ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত। পরে মন্ত্রিসভায় রদবদলে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলেও সেবার মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নাসিমের। তবে পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা।
এবার মন্ত্রিসভায় না থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাসিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।