পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রস্তাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য দেবেন তিনি। অন্যদিকে এবারের বাজেটে ৫ শতাংশের বেশি ঘাটতি ধরা হয়েছে। যা মেটানোর জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা সরকারের। আগামী বৃহষ্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের ৪৯ তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১ তম বাজেট এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ২য় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাজেটের আকার বাড়ার ধারাবাহিকতায়, এবার তিনি প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। চলতি অর্থবছর এই বাজেট ছিলো ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার। যদিও শেষ পর্যন্ত সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
অন্যদিকে আগামী অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেয়া হচ্ছে। এই অর্থবছরে এনবিআর আদায় করেছে ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে প্রায় ১০ শতাংশ বাড়তি অর্থ আদায় করতে হবে।
এনবিআর’র বাইরে অন্যান্য কর বাবদ ১৫ হাজার কোটি এবং কর ছাড়া প্রাপ্তি হিসেবে ৩৩ হাজার কোটি টাকার সরকারি কোষাগারে জমার পরিকল্পনা রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। আর ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকার বিদেশী অনুদান পাওয়ার আশা করছেন তিনি। সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছরে রাষ্ট্রের আয় দাঁড়াবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ আয় ব্যয়ের ফারাক থাকছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার। আর যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী অনুদান না মেলে, তবে ঘাটতি বেড়ে দাঁড়াবে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজেটে জিডিপির ৫ শতাংশ ঘাটতিকে আদর্শ ধরা হয়। কিন্তু এবার তা প্রায় ৬ শতাংশে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এই ঘাটতি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হলেও, শেষ পর্যন্ত এই ঘাটতি বেড়েছে। বাজেটে উত্থাপিত তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের ঘাটতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বরাবরের মতোই ঘাটতি মেটানোর উৎসও ঠিক করে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিদেশ থেকে ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি, ব্যাংক থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি এবং সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছর ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।