Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকায় ১০ সদস্যের চীনা মেডিক্যাল দল

দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী যারা এসেছেন, তাদের অনেকে উহানে কাজ করেছেন : চীনা রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের সহায়তার জন্য চীন থেকে আসা দলকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন এতে দু দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। গতকাল সোমবার ১০ সদস্যের এই মেডিকেল দল রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। চীন থেকে আসা মেডিকেল টিমকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিনমিংসহ দুই দেশের কর্মকর্তারা।

চীনের চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, এ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উৎসাহ পাবেন। তাছাড়া এদেশের রোগীরাও সাহস পাবেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশকে সম্মিলিতভাবে করোনা মহামারি মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। করোনা বৈশ্বিক ইস্যু এবং এটা কোন একক দেশের পক্ষে ম্যানেজ করা সম্ভব নয়। করোনা পরবর্তী অথনৈতিক সমস্যা মোকবিলায়ও বিভিন্ন দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশের করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতার পাশাপাশি রোহিঙ্গা বিষয়েও বিশেষ আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে। আশা করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীনের সহায়তা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে ড. মোমেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ড. মোমেন বলেন, চীনের এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আমাদের চিকিৎসকদের সাথে বৈঠক করবেন, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন। প্রযোজনবোধে তারা এ দেশের করোনা চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। এতে আমাদের রোগীরা সাহস পাবেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। করোনা রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও চীন প্রথম আবিষ্কার করে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের সহায়তার জন্য চীন থেকে আসা বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃতের হার কমিয়ে আনতে পরামর্শ দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, ১০ সদস্যের এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কমিটির উপমহাপরিচালক। আছেন উহানের ৫টি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিনমিং বলেন, এটি বাংলাদেশে আসা প্রথম কোন মেডিকেল টিম। যারা এখানে এসেছেন, তাদের অনেকে উহানে কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষ পেশাদার চিকিৎসক। এ দেশে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুহার কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে কাজ করবেন তারা। আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে চীনের দল। এসময় তারা করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি টেকনিক্যাল কমিটি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি। সংক্রমের শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে চীন। সরকারি পর্যায়ে প্রায় ১১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ৩ হাজার টেস্ট কিটের পাশাপাশি সহায়তা এসেছে আলীবাবা জ্যাকমা ফাউন্ডেশন থেকেও।

এর আগে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে আশ্বাস দিয়েছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং। সংক্রমণের প্রায় ৩ মাস পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলো কোন বিদেশি মেডিকেল টিম। এসময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহপিরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ