পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য গোপন টেন্ডারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে হাসপাতালের যে কোন টেন্ডার গোপন করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার অভিযোগ অনেক পুরনো।
হাসপাতালের ওষধ, ধূপি ও স্টেশনারীর ঠিকাদারী কাজ গোপনে সম্পূর্ণ করতে বিজ্ঞাপন গোপন করে টেন্ডারের কাজ সমপন্ন করার অপকৌশল ফাঁস হয়েছে। ফলে টেন্ডার কাজে অংশগ্রহণে বঞ্চিত ঠিকাদারদের তোপের মুখে পড়েন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাকিরুল ইসলাম লেলিন।
গত ২৮ মে দরপত্র দাখিলের শেষ দিনে অন্যান্য ঠিকাদাররা খবর পেয়ে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় ঠিকাদারদের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা তত্ত্ববধায়কের কার্যালয়ে গিয়ে উপস্থিত হন। কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপন প্রকাশ করা হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, বহুল প্রচারিত নয় এমন দুটি পত্রিকা নাম। দৈনিক এশিয়ার বাণী ও দৈনিক মুসলিম নিউজ। পত্রিকা দুটি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতেও ব্যর্থ হয়ে বলেন, করোনার কারণে পত্রিকা দুটি কুড়িগ্রামে আসেনি।
টেন্ডার সিন্ডিকেটের মূল হোতা, হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আশরাফ মজিদ জানান, বিজ্ঞাপনটি দৈনিক এশিয়ার বাণী ও দৈনিক মুসলিম নিউজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তবে তা অদ্যাবদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
অভিযোগে জানা যায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল জেলাবাসীর চিকিৎসার একমাত্র ভরসা। চিকিৎসা সেবা তো দূরের কথা উল্টো হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে বিনামূল্যের ওষুধ অতিরিক্ত মূল্যে কিনতে হয় রোগীদের। হাসপাতালে কম্বল, মশারী, চাদর ও বালিশের কভার দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেগুলো পায় না সব রোগী। অসাধু উপায়ে হাসপাতালের ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দিয়ে নিজেই ঠিকাদারী করেন হিসাব রক্ষক আশরাফ মজিদ। হাসপাতালের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট।
কুড়িগ্রাম শহরে বিশাল অট্টালিকাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন হিসাব রক্ষক আশরাফ মজিদ। প্রকাশ্যে অনিয়ম করে হাসপাতালের ওষুধ সরবরাহের কোটি কোটি টাকার কাজ প্রতিবছর একই ঠিকাদার পাচ্ছেন। তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে থলের বিড়াল।
অভিযোগে আরো জানা যায়, করোনা সঙ্কটের আগে হাসপাতালে আউটসোর্সিং এর ঠিকাদারী কাজে দরপত্র দাখিল সম্পন্ন হয়। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সিদ্ধান্ত না দিলেও তড়িঘড়ি করে গত সপ্তাহে চ‚ড়ান্ত ঠিকাদার নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেরণ করা হয়। সেখানেও গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেন্ডার শর্তবালীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক সলভেন্সী, সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতার সনদ ও কেন্দ্রীয় সিকিউরিটি সার্ভিসের সদস্য হওয়া বাধত্যমূলক। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে ভুয়া সনদ দেখিয়ে চূড়ান্ত ঠিকাদার হিসেবে স্বরলিপি সিকিউরিটি সার্ভিসিং প্রাইভেট লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করে জোরালো তদবির করছেন।
এসব অনিয়মের ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবাধায় ডা. জাকিরুল ইসলাম জানান, ঠিকাদারদের সাথে একটু সমস্যা হয়েছিল সেটা সমাধান হয়েছে। অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বললেই তিনি বলেন, সিস্টেমটি দীর্ঘদিনের যা আমি রাতারাতি ঠিক করতে পারবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।