পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় রপ্তানি আয়ে খরা না কাটলেও বিদায়ী মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে তার আগের মাসের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। তবে মে মাসেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের চেয়ে রপ্তানি আয় কম ছিল। এ নিয়ে পরপর দুই মাস রেমিটেন্স টপকে গেলে রপ্তানি আয়কে। গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, গত মে মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এপ্রিলে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে পণ্য রপ্তানি প্রায় তিন গুণ বাড়লেও তা গত বছরের মে মাসের চেয়ে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ মোট ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ (৪০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, করোনার কারণে এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ছিল খুব খারাপ। সে কারণে এপ্রিলে রপ্তানি তলানিতে নেমে এসেছিল।
দেশের রপ্তানি আয়ে মূল ভূমিকা থাকে তৈরি পোশাক শিল্পের; মে মাসে পোশাক কারখানাগুলোতে উৎপাদন হয়েছে। আগের ‘অর্ডার’ও ছিল। ইউরোপের দেশগুলোর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় রপ্তানিও কিছুটা বেড়েছে। তবে নতুন ‘অর্ডার’ না আসার পাশাপাশি অনেক ক্রেতা ‘অর্ডার’ বাতিল করায় বড় সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন তারা।
ইপিবির তথ্য মতে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৩ হাজার ৯৫ কোটি ৯১ লাখ (৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ শতাংশ কম। আর লক্ষ্যের চেয়ে কম ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের এই ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৩১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে এই ১১ মাসে লক্ষ্যের চেয়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৬ শতাংশ। আর গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে আয় কমেছে ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, করোনার ধাক্কায় বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে বড় ধস নেমেছে। গত তিন মাস ধরে পোশাক রপ্তানি আশঙ্কাজনকহারে কমছে। তিনি বলেন, খুবই কঠিন সময় পার করছি আমরা। খুব সহসা এই সঙ্কট কাটবে বলেও মনে হয় না। এদিকে এই সঙ্কটেও পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। বাকি অন্য সব খাতেই কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।