পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন (২০২০-২১) অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি ধরা হচ্ছে। বিশাল ঘাটতি মেটাতে এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। চলতি অর্থবছরে বাজেটে যার লক্ষ্য ছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। তবে সরকারের নানা শর্তের কারণে চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে। সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মধ্যেই আগামী ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবার প্রস্তাবিত বাজেটের আকার তথা মোট ব্যয় ধরা হচ্ছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ন্যায় বাজেটের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। আসন্ন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া করবহিভর্‚ত অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। মোট ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
আসন্ন বাজেটে ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অংকে যা ৮৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা আছে ৬৭ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান ধরা হচ্ছে চার হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা রয়েছে তিন হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করতে চায় সরকার। ব্যাংক খাত থেকে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা ছিল ৭২ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের জন্য সরকার সঞ্চয়পত্রের ২০ হাজার কোটি টাকাসহ অন্যান্য খাত থেকে মোট ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে চায় সরকার। চলতি বাজেটে (সংশোধিত) যা ছিল ১৪ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে সাত হাজার ৬৭৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ কম। আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। বিপুল অঙ্কের এই ঋণের বিপরীতে সরকারকে ১১ শতাংশের বেশি সুদ গুনতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিমাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সুদহার না কমিয়ে নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। যার কারণে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।