পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে গত রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। গতকাল সকালে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান ও জানাজা শেষে মিরপুরের ১১ নম্বর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক জানান, আহসানউল্লাহ হাসান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। সকাল থেকেই তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছিলো। দ্রুত তাকে গ্রামের বাড়ি থেকে অনেক চেষ্টা তদবির করে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। গত দুইদিন আগে আহসান উল্লাহ হাসানের শরীরের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। রাজধানীতে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না পেয়ে আশুলিয়ায় গ্রামের বাড়ি মশুরিখোলায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আনা হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে তাকে পুনরায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রোববার সকালে গুলশানে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিএমএ রাজ্জাক বলেন, আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের জন্য রাজধানী ছোট বড় সব হাসপাতালে আমরা গত দুইদিন হন্যে হয়ে ঘুরেছি। কোথাও চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আহসান উল্লাহ হাসান ঢাকা-১৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া হাসান ঢাকা সিটি করপোরেশনে মিরপুর ৬ নং ওয়ার্ডের টানা তিন দফায় নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। ১/১১ এর পরে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবে মাস খানেক দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা সিটি করোরেশন দুইভাগে বিভক্তির পর ২০১৭ সালে মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান হাসান।
তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে মহানগর বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আহসানউল্লাহ হাসান মৃত্যুকালে স্ত্রী রিনা হাসান, দুই ছেলে সোহরাব আল হাসান ও সাকিব আল হাসানকে রেখে গেছেন।
মিরপুরে দাফন : মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক বলেন, মিরপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১১ নম্বর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সকালে সোয়া ১০টায় মরহুমের কফিন অ্যাম্বুলেন্সে করে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এনে সামাজিক দূরত্ব বজা রেখে অল্পসংখ্যক সদস্যের নিয়ে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। দাফনের সময়ে মরহুম নেতার স্ত্রীর অসুস্থ রিনা হাসান, বড় ছেলে সারোয়ার আল হাসানসহ আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও মহানগর উত্তরের নেতা এবিএম শামসুল হক, এম কফিলউদ্দিন, আক্তার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, বুলবুল আহমেদ মল্লিক, আবদুল আউয়াল, মহিবুল হক, আকতার হোসেন জিল্লু, সৈয়দ একরাম
বাবুল, জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, আলমাস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবিরসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উপস্থিত থেকে তাদের প্রিয় নেতাকে বিদায় জানায়।
শোকবার্তা : আহসান উল্লাহ হাসানের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সেক্রেটারি কাজী আবুল বাশার, কেন্দ্রীয় নেতা সদস্য তাবিথ আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবলের সাইফুল ইসলাম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভ‚ঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।