পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন আরও দুজন চিকিৎসক। তাদের একজন ডা. সাখাওয়াত হোসাইন। অপরজন অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার আবুল কাশেম খান। তিনি জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন।
ডা. সাখাওয়াত রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের কনসালটেন্ট ছিলেন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বাড্ডা এ এম জেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে গত ২৯ মে থেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ডাক্তার সাখাওয়াত। ডা. সাখাওয়াত হোসাইন ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড ও ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট ছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ডা. সাখাওয়াত ছিলেন ৩ সন্তানের জনক।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. আবুল কাশেম খান মারা গেছেন।
ডা. আবুল কাশেম খানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর থেকেই জ্বরে ভুগছিলেন ডা. আবুল কাশেম খান। গত ৩ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ভোর ৬টার দিকে মারা যান তিনি। পরিবার সূত্র আরও জানায়, গত ৪ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য ডা. আবুল কাশেম খানের নমুনা নেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর পরীক্ষার ফল আসলে জানা যায় যে তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। ডা. আবুল কাশেম খান জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৯ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন।
করোনায় প্রাণ হারানো চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন ফরেনসিক মেডিসিনের প্রখ্যাত অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, প্রখ্যাত ইউরোলজিস্ট ডা. মঞ্জুর রশীদ চৌধুরী, ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, ডিজি হেলথের অবসরপ্রাপ্ত ইভালুয়াটার অফিসার ডা. এ কে এম ওয়াহিদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এস এ এম গোলাম কিবরিয়া ও স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।