পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস আক্রান্ত চার হাজার ছাড়িয়েছে। একশ’ ছুঁয়েছে মৃতের সংখ্যা। প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল, ৬৪ দিনের মাথায় আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়ালো। আক্রান্তের হারে চট্টগ্রাম এখন দেশের দ্বিতীয় স্থানে। আর চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলার চেয়ে এককভাবে চট্টগ্রামে কোভিড-১৯ রোগী বেশি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ২২৬ জনের। চট্টগ্রামে আক্রান্ত ৪ হাজার ৬৮ এবং মৃত্যু হয়েছে ৯৯ জনের।
চিকিৎসকরা বলছেন, উচ্চঝুঁকির পরও চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ব্যাপকহারে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। তবে উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু আরও বেশি। যদিও এর হিসাব স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে নেই। করোনা টেস্টের সীমাবদ্ধতা এবং বিশৃঙ্খলার কারণে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। এতে উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিনই মৃত্যু বাড়ছে। আর তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে নানা চেষ্টার পর চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে করোনা শয্যা বাড়লেও অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার হিড়িক পড়ে। আর তাতে এমন সঙ্কট বলে জানান স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই। তবে বিপত্তি দেখা দিয়েছে সিলিন্ডার নিয়ে। কেন্দ্রীয় সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় বেশিরভাগ হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন দিতে হয় সিলিন্ডারে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাহিদাও বেড়ে গেছে।
আবার অনেকে কিনে মজুদ করে রাখায় বাজারে সিলিন্ডারের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে শুরু থেকেই করোনা চিকিৎসা চলছে। সেখানে এখন শয্যা ১৬০টি। শয্যার বাইরেও রোগী আছে। সেখানেও অক্সিজেনের সঙ্কট চলছে। চমেক হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সিলিন্ডারে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, অক্সিজেনের কোনো সঙ্কট নেই। তবে অনেকে ঘরে ঘরে সিলিন্ডার কিনে মজুদ করে রাখায় সিলিন্ডারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমরা সঙ্কট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। হাসপাতালে শয্যাও বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন ৪২০ শয্যায় চিকিৎসা চলছে। চমেক হাসপাতালে আরও তিনশ শয্যা প্রস্তুত হচ্ছে। আজ থেকে ইউএসটিসিতে রোগী ভর্তি শুরু হবে। আইসিইউও বাড়ছে। মা ও শিশু হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট এবং ইউএসটিসিতে আইসিইউ সুবিধা আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।