Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে প্রতিবন্ধী মহিলাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন

এখনও গ্রেফতার হয়নি আসামী, মামলা তুলে নিতে হুমকি

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ৭:২৬ পিএম

শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের হুমায়ুন কবীরের মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যা তাসফিয়া হুমায়রা হৃদয়কে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারই চাচা-জেঠা ও ভাইয়েরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা ঘটনার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামের অবসর প্রাপ্ত নৌবাহিনীর সদস্য হুমায়ুন কবীরের মানসিক প্রতিবন্ধী কন্যা তাসফিয়া হুমায়রা হৃদয়। হৃদয়কে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই হৃদয় স্বামীকে নিয়ে বাবার গ্রামের বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল। আর বাবা হুমায়ুন কবীর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে জামালপুর শহরে বসবাস করে আসছে। হুমায়ুনের সাথে জমিজমা নিয়ে তার ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ১৪ মে বর্গা জমির ধানের আটি বন্টন নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হুমায়ুনের বড়ভাই হাশেমের নির্দেশে তার ভাতিজা রনিসহ অন্যরা বেধরকভাবে পেটাতে থাকে প্রতিবন্ধী হৃদয়কে। এতে সে গুরুতরভাবে আহত হয়।
আহত হৃদয়কে প্রথমে জামালপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে করোনার কারণে তাকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে ধীরে ধীরে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৩ মে আবার তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারপর তলপেটসহ বিভিন্নস্থানে আঘাতজনিত গভীর ক্ষত থাকায় ময়মসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই ২৪ মে হৃদয় মারা যায়। এঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ নির্মমঘটনার পর এলাকাবাসী দাবী করে আসছে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
পুলিশ তাৎক্ষনিক হত্যা মামলা গ্রহণ করে। কিন্তু এখনও আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে হৃদয়ের পরিবারের সদস্যরা। আসামীরা মামলা তুলে নিতেও হুমকি দিচ্ছে।
আসামী পক্ষের স্বজনরাও এঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেছেন, যাদের আসামী করা হয়েছে তাদের মধ্যে দু একজন জড়িত ছিলনা।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আমিনুল ইসলাম জানান, তারা এ হত্যাকান্ডের জন্য যারা দায়ী তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। দ্রুতই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছি। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।
একজন প্রতিবন্ধীকে হত্যার ঘটনায় জেলার সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তারাও চান এ হত্যা কান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ