Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালপুরে আগাম বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০২০, ৩:৫৪ পিএম

নাটোরের লালপুরে সুপার সাইক্লোন আম্পানসহ আগাম ৩ দফা বৃষ্টিতে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে চাষকৃত পাট, তিল, ভুট্টা, মুগডালের জমিতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার কৃষকরা।

তবে কৃষি বিভাগ সম্প্রতি বয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন আম্পানের তান্ডবে লালপুর উপজেলায় আম, লিচু, কলা ও পেপেতে প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করলেও খরিপ মৌসুমের এই সকল ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত নিরুপণ করতে পারেনি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলে জমির পানি নেমে যাবে আর তখন তেমন ক্ষতি হবে না বলে দাবি করছেন কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২১৮০ হেক্টর জমিতে মুগ, ৫০৫ হেক্টর জমিতে তিল, ৫৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট, ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ১০০ হেক্টর জমিতে কলা, ৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজি, ২০০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ রয়েছে। এছাড়াও ৭ হেক্টর জমিতে আউশ বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন, ১২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার আড়বাব, চংধুপইল, কদিমচিলানও ওয়ালিয়া ইউপির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিল, মুগডাল, ভুট্টা ও পাটের জমিতে পানি জমে রয়েছে। তিল, মুগডালের গাছগুলো মরে গেছে, ভুট্টা গাছগুলো পাতা ও গাছ মরে সাদা হয়ে আছে। পাটের গাছগুলো ঝিমিয়ে রয়েছে।

এসময় কথা হয় ভুট্টা চাষী মজনু অলীর সঙ্গে তিনি ইনকিলাব কে বলেন, এবছর ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছিলেন। আগাম বৃষ্টিতে তার সব ভুট্টা গাছগুলো মরে গেছে। এখন সামনে রোপা আমন ধান চাষ করার জন্য তার কাছে আর কোনো টাকা নেই।

উপজেলার প্রায় কৃষকরাই একই কথা বলছেন। অনেক কৃষকই এনজিও’র নিকট থেকে টাকা নিয়ে জমি লিজ নিয়ে তিল, ভুট্টা ও পাটের চাষ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা সর্বশান্ত হতে বসেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম ইনকিলাব কে বলেন, এ বছর আগাম বৃষ্টিতে খরিপ মৌসুমের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে এরমধ্যে পানি নামতে শুরু করায় অনেক পাট ক্ষেত স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। উপসহকারী কর্মকর্তাগণ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হবে বলেও তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ